বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রেলের জমি দখলের অভিযোগ

সৈয়দপুর প্রতিনিধি

নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি দখলবাজি কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। প্রভাবশালীদের সঙ্গে এবার সৈয়দপুর পৌর কর্তৃপক্ষ রেলের জমি দখলে মাঠে নেমেছে। ক্ষণস্থায়ী নয়, একেবারে স্থায়ী অবকাঠামো গড়ে তুলছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এটি ঘটেছে পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়া রেল কলোনিতে। এ অবকাঠামো নির্মাণে পৌরসভার ব্যয় হচ্ছে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। পৌরসভার দখলবাজি দেখে পৌর সবজিবাজার সংলগ্ন এলাকায়ও রেলের জমির ওপর মার্কেট নির্মাণ চলছে। এটি করছেন মাহমুদ হাসান মাসুম ডাক্তার। তবে তার কাছে জানতে চাইলে বলেন, এটি শহীদ-এ-আজম সবজিবাজার ইমামবাড়ার জায়গা। ইমামবাড়ার উন্নয়নে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। সরেজমিনে এমনও দেখা যাচ্ছে, যারা আগে এক তলা ভবন করেছিল, সেই ভবনকেই বহুতল ভবন বর্তমানে করা হচ্ছে। রেলের জমি দখলবাজির খবর মিডিয়ায় প্রচার হলে দু-এক দিনের জন্য নড়েচড়ে বসে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কদাচিৎ রেলওয়ের ভূসম্পদ কর্তারা সরেজমিনে তদন্ত করে চলে যান। পরে আবার সাবেকি অবস্থা ফিরে আসে। ১৮ আগস্ট রেলওয়ের ভূসম্পদ বিভাগের ৮ নম্বর কাচারির কানুনগো জিয়াউল হক ঘটা করে সৈয়দপুরে এসেছিলেন দখলবাজির ঘটনা সরেজমিনে দেখতে। তিনি চলে যাওয়ার এক দিন পর ২০ আগস্ট থেকে আবার চলছে পুরোদমে দখলবাজি। অভিযোগ রয়েছে, দখলবাজরা ভূসম্পদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্য রেখেই অপকর্ম অব্যাহতভাবে পরিচালনা করেন। সৈয়দপুরে রেলওয়ের কোয়ার্টার ও পতিত ভূসম্পদ দেখভালের দায়িত্বে আছেন রেলওয়ের পূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম ও সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী ওয়ালী-উল হক। এ দুই কর্মকর্তারও মনিটরিং চোখে পড়ার মতো নয়। রয়েছে রেলওয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী। এ বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য আছে রেলওয়ে পুলিশ। সব ধরনের জনবল রেলওয়ের থাকা সত্ত্বেও অবৈধ দখলদার ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। আবার অবৈধ দখলে লিপ্ত হন সরকার দলীয় স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা।

সর্বশেষ খবর