শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ছয় মাসের কাজ শেষ হয়নি তিন বছরেও

মেহেরপুরে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ

মেহেরপুর প্রতিনিধি

ছয় মাসের কাজ শেষ হয়নি তিন বছরেও

মেহেরপুর সদর উপজেলার রায়পুর গ্রামে খন্দকার পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ তিন বছরের শেষ হয়নি। এতে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের জরাজীর্ণ টিনের ছাপড়ায় প্রচ- গরম আর বৃষ্টি ভিজে ক্লাস করতে হচ্ছে।

জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অধীনে পিইডিপি-ফোর প্রকল্পের আওতায় মেহেরপুর সদর উপজেলার খন্দকার পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবন নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ১২ কোটি ২৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। টেন্ডারে কাজ পায় মেসার্স আখিল ট্রেডার্স। ২০২০ সালের মাঝামাঝি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৮০ দিনের (ছয় মাস) মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কাজের তাগাদা দিলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হুমকি-ধামকি শুনতে হয় বলে অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের। ভবন নির্মাণ চলমান থাকায় তিনটি সেমি পাকা টিনের ঘরে প্রচ- গরম সহ্য করে এবং বৃষ্টি ভিজে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। বৃষ্টি হলে বই-খাতাসহ বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও শিক্ষা উপকরণ ভিজে নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী অন্য স্কুলে চলে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের দাবি অল্প দিনেই কাজ শেষ হবে। এলাকাবাসী বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ দ্রুত শেষ করা দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যুৎ চলে গেলে গরমে ক্লাসে থাকা যায় না। বর্ষায় টিনের চাল দিয়ে পানি পড়ে বই-খাতা ভিজে যায়। ঘরে সাপ, পোকামাকড় ঢোকে। আমাদের খুব ভয় লাগে। সহকারী শিক্ষক সামসুন নাহার জানান, মাথার ওপর টিনের চাল। চালের টিনও ব্যবহারের অযোগ্য। ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের তীব্র গরমে কষ্টে ক্লাস করতে হচ্ছে। প্রায়ই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ব্যাহত হচ্ছে শ্রেণি কার্যক্রম। প্রধান শিক্ষক এহতে শামুল হক বলেন, স্কুল ভবনের কাজ শুরু হয়েছে ২০২০ সালে। ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০২৩ সালের শেষদিকে এসেও কাজ সম্পন্ন হয়নি। বারবার সংশ্লিষ্ট দফতরে বিষয়টি জানিয়েও সুরুহা পাইনি। ঠিকাদার মেসার্স আখিল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ফারুক হোসেন বলেন, রডের দাম বাড়ায় ইচ্ছা করে কাজ বন্ধ রেখেছি। মেহেরপুর সদর উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিন আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ের ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে। দ্রুত ভবন হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর