শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভারী বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

ভারী বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানেও দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দুই দিন ধরে কুড়িগ্রামে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে তিস্তা, দুধকুমারসহ জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বেড়েছে। নদী তীরবর্তী মানুষ বিশেষ করে আমন চাষিরা আতঙ্কে রয়েছেন। ভারী বর্ষণে বিভিন্ন এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

জেলা শহরের মডেল মসিজদ, ফায়ার সার্ভিস, পিটিআই মাঠসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতের সামনে জলাবদ্ধতায় বিপাকে পড়েন শহরবাসী। এদিকে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার খেটে খাওয়া ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন- টানা বৃষ্টির কারণে নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় নতুন করে আমন খেত তলিয়ে গেছে। প্রতিদিন বাড়ছে পানি। তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। অন্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিজ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা আতঙ্কে পড়েছেন নদীপাড়ের মানুষ। সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাইঝাড় এলাকার সাহেদ আলী বলেন, কিছুদিন আগে বৃষ্টির পানিতে আমার আমন খেত তলিয়ে ক্ষতি হয়েছিল। পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর আবার নতুন করে জমিতে ধান রোপণ করেছি। এবার বন্যা হলে আবার ধান নষ্ট হয়ে যাবে। আমার আর ক্ষমতা নেই যে নতুন করে ধান রোপণ করব। রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ২৬-২৭ তারিখ পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে উলিপুর, চিলমারী ও সদরের কিছু অংশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে। তিস্তার পানি বিপৎসীমার মাত্র ২ সে মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও এখনো অন্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর