শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

লাম্পি স্কিন আতঙ্কে গরু খামারিরা

চুয়াডাঙ্গা ও সখীপুর প্রতিনিধি

লাম্পি স্কিন আতঙ্কে গরু খামারিরা

চুয়াডাঙ্গায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ। প্রতিদিন অসুস্থ গরু নিয়ে কেউ না কেউ সরকারি পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে আসছেন। বাড়িতেও আলাদাভাবে চিকিৎসার উদ্যোগ নিচ্ছেন খামারিরা। গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন খামারি ও সাধারণ কৃষকরা। খামার ও গোয়ালঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং আক্রান্ত গরু মশারির মধ্যে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। খামারিরা জানান, প্রায় এক মাস আগে দেখা দিয়েছে এ রোগের প্রকোপ। আক্রান্ত গরুর শরীর গরম হয়ে যাচ্ছে। চামড়া ফুলে সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষত। গরু খাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। চোখ দিয়ে ঝড়ছে পানি। আক্রান্ত গরু ক্রমেই দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। গরু পালনকারীরা জানান, লাম্পি স্কিন রোগের চিকিৎসা খুব ব্যয়বহুল। সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে না। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন গবাদিপশু মালিকরা। দামুড়হুদার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান শাওন জানান, জেলার মধ্যে সদর ও দামুড়হুদায় এ রোগের প্রকোপ বেশি। বাছুর আক্রান্ত হলে মারা যাচ্ছে। আমরা খামারমালিকদের সার্বিক পরামর্শ দিচ্ছি। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শেখ মশিউর রহমান বলেন, লাম্পি স্ক্রিন রোগে আক্রান্ত গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে থাকি।

এদিকে টাঙ্গাইলের সখীপুরে লাম্পি স্কিন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে গরু। সরকারি পর্যায়ে এ ভাইরাসের ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার খামারিরা। ভাইরাসের কারণ, লক্ষ্মণ ও প্রতিকারে উঠান বৈঠক, বিভিন্ন সভা-সেমিনার করা হচ্ছে বলে জানায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস। জানা যায়, উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন রোগ। ভয়ে অনেকে গরু বিক্রি করার কথা ভাবছেন। এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২ শতাধিক গবাদি পশু এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান খামারিরা। কালমেঘা গ্রামের আবদুর রহিম বলেন, কত চিকিৎসা করালাম কাজ হলো না। শেষে গরুটা মারাই গেল। বেড়িখোলা গ্রামের ইউনূস আলী বলেন, ছয়-সাত দিন ধরে গরুটা অসুস্থ। হাসপাতালে নিলাম, ডাক্তার বললেন সরকারিভাবে এ রোগের ভ্যাকসিন নেই। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সামিউল বাছির বলেন, সময় মতো ভ্যাকসিন দিলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

সর্বশেষ খবর