শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকছেন নীলফামারীর কৃষক

নীলফামারী প্রতিনিধি

বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকছেন নীলফামারীর কৃষক

একসময় নীলফামারীর সমতল জনপদের কৃষক আদার চাষ করে বাম্পার ফলন পেত। উর্বর দোঁআশ মাটি, জমির উচ্চতা, প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত এবং শুষ্ক-আর্দ্র আবহওয়া সব দিক থেকেই নীলফামারীর জলবায়ু আদা চাষের জন্য উপযোগী। আর এ কারণে প্রতিবছর এ জেলায় প্রচুর আদা চাষ হয়ে থাকে। জেলায় ধান, পাট, গমের পরে এখানকার কৃষকরা অর্থকরী ফসল হিসেবে আদা চাষ করে থাকেন। তবে জলবায়ু পরিবর্তনে বিগত কয়েক বছর ধরে ওইসব জমিতে আদা চাষ করতে গিয়ে পচনসহ নানা রোগে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকদের লোকসান গুনতে হয়েছে। এ জেলায় প্রচুর আদা আবাদ হলেও আদা সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় কৃষক ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে জমিতে আদা চাষের বিকল্প হিসেবে এবং কম খরচে ভালো ফলনে এবং অধিক লাভের আশায় পতিত, অনাবাদি জমিতে বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকছেন কৃষক। যাদের জমি নেই তারা বাড়ির আশপাশে, আঙিনায়, গাছতলায় বস্তায় আদা চাষ করে বাড়তি আয় করছে। কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের পাগলার বাজারের পাঠান ট্রেডাসের স্বত্বাধিকারী রোকন ইবনে আজিজ বলেন, লিচুবাগানে ৬ হাজার ৫০০ বস্তায় আদা চাষ করেছি। বস্তায় আদা চাষ তুলনামূলক রোগবালাই ও খরচ কম। ফলনও ভালো, লাভ দিগুণ। ছায়াযুক্ত হওয়ায় খরার কোনো প্রভাব পড়ে না। প্রতি বস্তায় খরচ হয়েছে ৩০ টাকার মতো। উপজেলার মাগুড়া গ্রামের চাষি আবদুস ছালাম বলেন, বসতবাড়ির পরিত্যক্ত জায়গায় ২ হাজার ৪০০ বস্তায় আদা রোপণ করেছি। ১১ হাজার টাকা বস্তা দরে ১৫০ কেজি বীজ ক্রয় করে রোপণের সময় প্রতি বস্তায় তিনটি করে বীজ রোপণ করেছি। চারা তাজা হওয়ার পর পিলাই (মাটা) তুলে করে বিক্রি করেন ২৯ হাজার টাকা। কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার লোকমান আলম বলেন, চলতি বছর জমিতে ২৩৪ হেক্টরের পাশাপাশি কৃষককে উদ্বুদ্ধ ও পরামর্শ দিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের ১১ হাজার বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। বস্তায় আদা চাষ একটি আধুনিক পদ্ধতি। যা ফল বাগানে, পতিত জমিতে, বসতবাড়ির আনাচে কানাচে, এমনকি বাড়ির ছাদে চাষ করা যায়।

সর্বশেষ খবর