সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

আক্কেলপুর-সান্তাহার রুটে ২০ দিন যান চলাচল বন্ধ

ধসে গেছে নির্মাণাধীন সেতুর বিকল্প সড়ক

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

আক্কেলপুর-সান্তাহার রুটে ২০ দিন যান চলাচল বন্ধ

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ধসে যাওয়া সড়ক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভারী বর্ষণে নির্মাণাধীন দুটি সেতুর বিকল্প সড়ক ভেঙে গেছে ৭ আগস্ট। ওই দিন থেকে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ আছে জয়পুরহাটের জনগুরুত্বপূর্ণ আক্কেলপুর-সান্তাহার সড়কে। এখন থেকে অতিরিক্ত ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করছেন এলাকার মানুষ। এতে হয়রানির পাশাপাশি বেড়েছে ভোগান্তি।  জানা যায়, আক্কেলপুর-সান্তাহার সড়কের কাঁঠালবাড়ি এলাকায় গুর্কি ও কুচামারা খালে দুটি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজের আদেশ হয় গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে সেতু দুটি নির্মাণ করছেন ঠিকাদার এইএম মাসুদ রেজা। ৩ ফেব্রুয়ারি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কাজ শুরুর আগেই পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না রেখে সেতু দুটির পাশে তৈরি করা হয় বিকল্প সড়ক। সেই সড়কে বাস ট্রাকসহ অন্য যানবাহন চলাচল করতো। আগস্ট মাসের শুরুতে প্রবল বর্ষণে বিকল্প সড়ক ডুবে যায়। তখন পানির চাপে ধসে যায় দুই সড়কের ১৫ মিটার। এরপরই আক্কেলপুর-সান্তাহার সড়কে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একটি সড়ক মেরামতের পর ২১ আগস্ট চালু হলেও অন্যটি সংস্কার হয়নি। সেতুর পাশ দিয়ে ড্রামের ভেলায় মানুষ পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্মাণাধীন দুটি সেতুর নিচ দিয়ে এ অঞ্চলের কয়েকটি মাঠের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হয়। সেই পানি নিষ্কাশনের স্থান সংকুচিত করে ঠিকাদার বিকল্প সড়ক নির্মাণ করায় তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কাঁঠালবাড়ি গ্রামের কৃষক মজির উদ্দিন বলেন, ‘২০ দিন থেকে সড়কটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। ড্রামের ভেলায় খুব কষ্টে তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। একই গ্রামের আবদুল লতিফ বলেন, সড়কটি বন্ধ থাকায় দুই কিলোমিটার পাড়ি দিতে ১০ কিলোমিটার ঘুরতে হচ্ছে। পৌর শহরের ফল ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, সড়কটিতে চলাচল বন্ধের খবর তিনি জানতেন না। কোনো সাইনবোর্ডও দেওয়া হয়নি। গত সোমবার তিনি ওই পথে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে সান্তাহারের উদ্দেশে রওনা হয়ে সেতু এলাকা থেকে ফিরে এসেছেন। কাঁঠালবাড়ি গ্রামের কৃষক বুলবুল হোসেন বলেন, পানি নিষ্কাশন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩০০ বিঘা জমির ধান ডুবে নষ্ট হয়েছে। আবার নতুন করে রোপণ করতে হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবজি খেতও। ঠিকাদার এইএম মাসুদ রেজা বলেন, ‘দুটি সেতুর কাজ দ্রুতগতিতে চলছিল। হঠাৎ ভারী বৃষ্টিতে বিকল্প সড়ক ভেঙে গেছে। ৩০ আগস্ট ওই সেতুতে ঢালাই দেওয়া হবে। আশা করছি ৫ সেপ্টেম্বর থেকে এ সড়কে হাল্কা যানবাহন চলাচল করতে পারবে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আলাউদ্দিন হোসেন বলেন, ‘ভারি বৃষ্টির কারণে ওই অঞ্চলের মানুষ সড়কটিতে চলাচল করতে সাময়িক ভোগান্তিতে পড়েছেন। ভেঙে যাওয়া বিকল্প সড়ক মেরামত করতে সময় লাগবে। এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর ঢালাই শেষ করে চলাচলের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর