মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

সেতুর জন্য ভোগান্তি ২১ গ্রামের মানুষের

জামান আখতার, চুয়াডাঙ্গা

সেতুর জন্য ভোগান্তি ২১ গ্রামের মানুষের

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাতিকাটা ও তালতলা গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাথাভাঙা নদীতে ১০০ বছরেও একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। এ কারণে দুই পাড়ের অন্তত ২১ গ্রামের বাসিন্দার এ নদী পারাপার হতে হয় নৌকায়। ব্রিজ না থাকায় বড় কোনো গাড়ি এই পথে চলে না। হেঁটে, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল নৌকায় তুলে নদী পার হতে হয়। ভুক্তভোগী গ্রামবাসি এ ব্যাপারে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো কাজ হয়নি। কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা জানান, নৌকায় চড়ে গ্রামবাসীর কৃষিপণ্য শহরে নিতে হয়। শিক্ষার্থীরা কলেজ ও বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে নৌকায়। গ্রামবাসীদের হাতিকাটা-তালতলা ঘাটে নৌকা পার হতে হয়। চুয়াডাঙ্গার হাতিকাটা গ্রামের মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমার দাদার জন্ম ১৯০৬ সালে। তিনি ছোটবেলা থেকেই এই ঘাটে নৌকায় মানুষ পারাপারের কাজ করতেন। সেই হিসেবে ১০০ বছর ধরে এ ঘাটে একটি ব্রিজের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।’ তালতলা গ্রামের কৃষক আজির বকস বলেন, আমাদের খেতের ধান-পাট শহরে নিতে খুব কষ্ট হয়। নদী পার হলেই হাতিকাটা বাজার। সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও রবিবার সেখানে হাট বসে। ব্রিজ থাকলে ওই হাটে যেতে এক কিলোমিটার পথ পেরুতে হত। এখন আমাদের ঘুরতে হয় ১০-১২ কিলোমিটার পথ। গ্রামবাসি জানায়, মাথাভাঙা নদীর হাতিকাটা-তালতলা অংশে মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করা গেলে আলোকদিয়া, দৌলাতদিয়ার, হাতিকাটা, বেলেপাড়া, মনিরামপুর, বঙ্গজপাড়া, রাজাপুর, ভালাইপুর, হাজরাহাটি, শিয়ালমারিসহ অন্তত ২১টি গ্রামের বাসিন্দার ১০-১২ কিলোমিটার পথ কমে আসতো। খুব সহজেই তালতলা হাজরাহাটি এলাকার মানুষ মেহেরপুর জেলায় যাতায়াত করতে পারবেন। চুয়াডাঙ্গা শহরের সঙ্গেও যোগাযোগ সহজ হবে। চুয়াডাঙ্গা কোর্ট, কলেজ, রেজিস্ট্রি অফিসে মানুষ আসতে পারবেন সহজে। চুয়াডাঙ্গা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাথাভাঙ্গা নদীর হাতিকাটা-তালতলা ঘাটে ব্রিজের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর