মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বগুড়ায় পিঁয়াজ-আদায় ঝাঁজ স্বস্তি নেই সবজিতেও

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বগুড়ার বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে পিঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা। চড়া আদা-রসুনের বাজারও। স্বস্তি নেই সবজিতেও। মাছ, মাংস ও ডিমের দামও বেশি। সব মিলিয়ে বাজারে স্বস্তি মিলছে না ক্রেতাদের। গতকাল বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, গোদারপাড়া বাজার, কলোনি বাজার ও খান্দার বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৪ থেকে ৯৫ টাকা কেজি। ভারতীয় পিঁয়াজ প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। খুচরা বাজারে দেশি ও আমদানি করা আদা এক সপ্তাহে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে দেশি আদা প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা। গতকাল আদা বিক্রি হয় ১৮০ টাকা কেজি। রসুন বিক্রি হয়েছে প্রকারভেদে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি। চলতি বছরে শুরুর দিকে গড়ে প্রতি কেজি আদার দাম ছিল ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। কয়েক মাসের ব্যবধানে তা বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। অথচ সরকারি হিসাবে জানুয়ারি মাসের পর থেকে প্রায় প্রতি মাসেই আদা আমদানি বেড়েছে।

পাইকারি পিঁয়াজ ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন জানান, এ বছর পিঁয়াজ উৎপাদন অনেক কম হয়েছে। বাজারে দেশি পিঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকায় দামও বেশি। ভারত পিঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্কারোপসহ নতুন নীতিমালা করায় দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। বগুড়া রাজাবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী সুলতান আহম্মেদ জানান, আদা আমদানি করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়।

দেশে এ বছর আদা উৎপাদন কম হয়েছে। এজন্য এর দাম অনেক বেশি। বেশি আমদানি হলে দাম কিছুটা কমতে পারে। আমদানি করা আদার ৫০ শতাংশই থাকত চীনের। বাজারে চীনা আদা না থাকায় সংকট আরও বেড়েছে। খুচরা বিক্রেতা মতিউর রহমান জানান, পাইকারি বাজারে আদা ও পিঁয়াজের দাম বেড়েছে। রসুনের দামও বাড়তি।

সব ধরনের সবজির দাম বেশি। বেগুন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০, করলা ৬০, মিষ্টি লাউ ৫০, নতুন সিম ১৬০, টমেটো ১২০, ঢেঁড়স ৪০, পটোল ৩০, আলু ৫০, লালশাক ৪০, পালংশাক ৬০, শসা ৫০ থেকে ৬০, গাঁজর ৮০ টাকা। ডিমের দাম এখন সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। গরুর মাংসের কেজি ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। সোনালি মুরগি ৩০০ টাকার ওপরে। তবে দুই দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে কেজিতে ৪০ টাকা। ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

কলোনি এলাকার আবদুর রাজ্জাক জানান, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। যতই দিন যাচ্ছে দাম ততই বাড়ছে। কোনটা বাদ দিয়ে কোনটা কিনব বুঝতে পারছি না। সবকিছুই কম করে কিনছি। ১ হাজার টাকায়ও বাজার হয় না। আয় না বাড়লেও খরচ বেড়েছে দিগুণ। চাল, ডাল, কিনে সংসারের অন্যান্য ব্যয় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ছোট চাকরিজীবীদের জন্য কষ্টটা বেশি। এখন সংসার চালনোই কঠিন।

সর্বশেষ খবর