বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিপৎসীমার ওপরে বইছে তিস্তা

নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ♦ ফসলহানির শঙ্কা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

বিপৎসীমার ওপরে বইছে তিস্তা

সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কুড়িগ্রামে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আবারও বাড়ছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড গতকাল জানায়, তিস্তার পানি ১৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুধকুমার নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার মাত্র ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আবারও চরম অবনতি ঘটেছে। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অনেকের বাড়ি ঘরে পানি ঢুকেছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এসব এলাকায় সড়কে পানি উঠেছে। এতে সড়ক তলিয়ে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বানভাসিদের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে। সদ্য রোপণ করা ও আগাম আমন খেত তলিয়ে গেছে। ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের আবদুর রহমান জানান, কয়েকদিন ধরে ধরলার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত রাতে পানি বেড়ে কাঁচা রাস্তা ও আমন খেত তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি নেমে না গেলে চরম বিপদে পড়তে হবে। পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন বেড়েছে তিস্তা নদী পাড়ে। রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের তিস্তার বাম তীরে অন্তত ২০টি পয়েন্টে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। রাজারহাটের খিতাবখাঁর ভাঙন কবলিতরা জানান, বছরের পর বছর ধরে তিস্তার ভাঙন অব্যাহত থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড যথাসময়ে কাজ করছে না। এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার, ইউএনও দেখে যায় কিন্তু কোনো কাজ হয় না। শুধু বলে যায় কাজ হবে কাজ হবে। কিন্তু কিছুই হয় না। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, তিস্তাসহ অন্যান্য নদনদীর ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে কাজ চলমান রয়েছে। নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বড় বন্যার পূর্বাভাস এই মুহূর্তে নেই।

সর্বশেষ খবর