বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

সংকটে ধুঁকছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

সংকটে ধুঁকছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

পরিত্যক্ত পড়ে থেকে নষ্ট হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স -বাংলাদেশ প্রতিদিন

অব্যবস্থাপনাসহ নানা সমস্যায় ধুঁকছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দীর্ঘ দিনেও গাইনি ও সার্জারি চিকিৎসকসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদায়ন না হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেবা। গর্ভবতী নারী ও শিশুসহ গুরুতর রোগে আক্রান্তদের দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ। অপারেশন থিয়েটারে অকেজো পড়ে আছে কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। জানা যায়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবায় ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সরাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২০১২ সালে ৫০ শয্যায় উন্নিত হওয়ার পর হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসকসহ আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৪০০-৫০০ রোগী সেবা নেন। নানা অব্যবস্থাপনার কারণে এর সুফল পাচ্ছেন না উপজেলাবাসী। অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সম্বনয়হীনতার কারণে রয়েছে চিকিৎসক সংকট। হাসপাতাল পরিচালনায় মেডিকেল অফিসার ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মিলিয়ে ৩০ জন থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে আছেন ২২ জন। বিশেষ করে ৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মধ্যে গাইনি, সার্জারি, চর্ম ও নাক-কান-গলার চিকিৎসক না থাকায় দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, গাইনি চিকিৎসকের অভাবে এক বছরে হাসপাতালটিতে একটি সিজারও হয়নি। কোটি টাকার যন্ত্রপাতি প্রায় অকেজো পড়ে আছে। চিকিৎসা নিতে আসা জনসাধারণকে ছুটতে হচ্ছে সদর হাসাপাতলসহ আশপাশের প্রাইভেট ক্লিনিকে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের নিয়ে অন্যত্র যাতায়াত করার ফলে তাদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে। প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে অতিরিক্ত খরচ করে স্বাস্থ্যসেবা নিতে হয়। এতে হতদরিদ্ররা বিপাড়ে পড়েন। আট মাস আগে একজন গাইনি চিকিৎসক পদায়ন করা হলেও যোগদানের পর এক দিনও হাসপাতালে আসেননি। পরে অন্যত্র বদলি নিয়ে চলে যান। চিকিৎসক সংকটের কথা স্বীকার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোমান মিয়া জানান, চিকিৎসক পদায়নের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবেই চলছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. একরামউল্লাহ জানান, জনস্বাস্থ্যর সুরক্ষায় ও গর্ভবতীদের নিরাপদে সন্তান প্রসব নিশ্চিতে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। সরাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দ্রুত সময়ের মধ্যে গাইনিসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসক পদায়ন করা হবে। সিজারিয়ান বিভাগ দ্রুত পুরোদমে চালু করা হবে।

সর্বশেষ খবর