বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

লোকসানের শঙ্কায় পাটচাষিরা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

লোকসানের শঙ্কায় পাটচাষিরা

দিনাজপুরে পাটের আঁশ শুকানোর কাজে ব্যস্ত নারী -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পাটের উৎপাদন খরচ বাড়লেও কাক্সিক্ষত দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। ফলন ভালো হলেও দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে মণপ্রতি পাটের দাম কমেছে ৫০০-৬০০ টাকা। এতে মূলধন উঠানো নিয়েই শঙ্কায় পড়েছেন কৃষক।

চাষিরা জানান, গত বছর প্রতি মণ পাট বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকায়। এতে চাষিদের মণপ্রতি ৮০০ টাকারও বেশি লাভ হয়েছে। গতবার ভালো লাভ পাওয়ায় এবার কাহারোল উপজেলার চাষিরা পাট আবাদে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এক মাস আগে নতুন পাট ওঠা শুরু হলেও কৃষকরা ২ হাজার ৪০০ টাকা মণদরে পাট বিক্রি করেছেন। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাটের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ১৬০০-১৮০০ টাকা দরে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, কাহারোলে এবার পাটের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭০০ হেক্টর। পাট আবাদ করতে নানা বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন চাষিরা। আবাদের সময় খরার কারণে পাটগাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া পাট কাটা মৌসুমের শুরুতে পানির অভাবে অনেকে খেতের কাছে জাগ দিতে পারেননি। এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে নিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছে। এতে অনেক কৃষকের প্রতি বিঘায় অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। বিভিন্ন কারণে কৃষকের পাট উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। বলেয়া হাটে ভ্যানে করে ৩ মণ পাট নিয়ে আসেন বলেয়া গ্রামের সুকুমার রায়। এ সময় তিনি বলেন, পাটের মান ভালো তাই আমি ২ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করলাম। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি মণ পাটের দাম ৮০০-১০০ টাকা কম।

পাটের দাম কমার বিষয়ে ব্যবসায়ী শহিম উদ্দীন বলেন, এখন পর্যন্ত ৩০০ মণ পাট কিনেছি। পাটের বাজার নিয়ে কিছুটা সংশয় আছি। কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, বর্তমানে গত বছরের তুলনায় পাটের দাম কিছুটা কম হলেও এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের লাভ হবে। ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।

সর্বশেষ খবর