রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাটে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা

পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে সংকট ঠাকুরগাঁওয়ে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

পাটে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা

জাগ দেওয়ার জন্য এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় পাট নিয়ে যাচ্ছে কৃষক

ঠাকুরগাঁওয়ে পানি ও জাগ দেওয়ার জায়গার সংকটে দিন দিন পাট আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা। পাটের ফলন ভালো হলেও এ দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। যদিও কৃষিবিভাগ বলছে বিগত বছরগুলোর তুলনায় আবাদ বাড়ছে। সারেজমিন দেখা যায়, জেলার কিছু চাষি পাট কর্তন, জাগ ও ধোয়ার কাজে ব্যস্ত থাকলেও অধিকাংশ কৃষক পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে পড়েছেন বিড়ম্বনায়। বর্ষা মৌসুমে কিছু বৃষ্টি হলেও সব খাল বিলে এখনো তেমন জমেনি পানি। গুটি কয়েক জায়গার খাল-বিলের জমা পানিতে যারা পাট জাগ দিয়েছেন সেগুলো এখন ধোয়ার কাজে ব্যস্ত কৃষাণ-কৃষাণী। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি বছরে পাট আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে। হেক্টরপ্রতি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ দশমিক ৮ টন। কৃষকরা বলছেন, পাট আবাদে অধিক পরিশ্রম, পানির অভাব এবং দামের কারণে আবাদ কমিয়ে দিচ্ছেন তারা। পাটচাষি আবদুল খালেক বলেন, গত বছর মানুষ যা পাট চাষ করেছিল এবার তার থেকে অনেক কম চাষ করেছে। কারণ পানি ও পাট জাগ দেওয়ার জায়গার সংকট। পাটচাষি দীনেশ বলেন, আগে অনেক খালবিল ছিল এখন সেগুলোও নেই। যদিও পুকুর আছে, সেগুলো সরকারি এবং তা লিজ দিয়েছে সরকার। সেগুলোতে পাট জাগ দিতে দেয় না। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার পাট আবাদ বেশি হয়েছে।

বর্তমান পাটের বাজার দর অনুযায়ী কৃষকরা লাভবান হবেন। এ ছাড়া পানির স্বল্পতার জন্য আমরা চাষিদের রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট জাগ দেওয়ার পরামর্শ এবং আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের প্রণোদনা আওতায় উচ্চ ফলনশীন বীজ দিচ্ছি।

সর্বশেষ খবর