বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সুন্দরবনের পাশে হচ্ছে ‘ম্যানগ্রোভ গ্রাম’

বায়ুমন্ডলের কার্বন কমাবে

বাগেরহাট প্রতিনিধি

তীব্র লবণসহিষ্ণু জাতের গাছ লাগিয়ে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সুন্দরবন সন্নিহিত চিলা এলাকাকে ‘ম্যানগ্রোভ গ্রামে’ রূপান্তর করা হচ্ছে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের প্রভাব কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া। সংশ্লিষ্টরা জানান, তীব্র লবণসহিষ্ণু ম্যানগ্রোভ বনের প্রতিটি গাছের বায়ুমন্ডলের কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ ক্ষমতা সাধারণ গাছের চেয়ে চারগুণ বেশি। এমন বাস্তবতায় চিলা এলাকাকে ম্যানগ্রোভ গ্রামে রূপান্তর করতে ইতোমধ্যে রোপণ করা হয়েছে তীব্র লবণসহিষ্ণু জাতের ২ হাজার কেওড়া ও ২ হাজার গোলপাতা গাছের চারা। ম্যানগ্রোভ বন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সাহায্য করে। বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধির ফলে ঘটছে জলবায়ু পরিবর্তন। তাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের পাশেই আবার ম্যানগ্রোভ বনায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, এইচএসবিসি ব্যাংক ও ব্র্যাক ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের মীরসরাইতে গড়ে তুলেছে একটি ম্যানগ্রোভ বন। এখন গ্রাম পর্যায়ে ম্যানগ্রোভ বনায়ন সৃষ্টিতে সুন্দরবন লাগোয়া চিলা এলাকা বেছে নেওয়া। ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির প্রধান আবু সাদাত মনিরুজ্জামান খান জানান, চিলা গ্রামে তীব্র লবণসহিষ্ণু প্রজাতির ২ হাজার কেওড়া ও ২ হাজার গোলপাতা গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। তীব্র লবণসহিষ্ণু জাতের আরও ১৫ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হচ্ছে। এসব ম্যানগ্রোভ গাছ গৃহনির্মাণ উপকরণ, আসবাবপত্র তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। গোলপাতা ফলের রস থেকে তৈরি হয় গুড়। কেওড়ার ফল দিয়ে তৈরি হয় আচার। কেওড়ার পানি মুখরোচক খাবার। কেওড়া ফুলের মধু বেশ উন্নতমানের। এসব পণ্যের বাজার দর ও চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। ম্যানগ্রেভ গাছ লাগিয়ে চিলা গ্রামের মানুষ পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি অর্থনৈতিক দিক দিয়েও লাভবান হবে।

সর্বশেষ খবর