বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ধসে গেছে বিকল্প সড়ক

আবদুর রহমান টুলু বগুড়া

ধসে গেছে বিকল্প সড়ক

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির পানির তোড়ে বগুড়ার আদমদীঘির রক্তদহ বিলের শাখা খালে নির্মাণাধীন সেতুর বিকল্প সড়ক ধসে গেছে। এখন ওই পথ ব্যবহারকারীদের একমাত্র ভরসা খেয়া নৌকা। পথচারীরা একদিকে যেমন দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে খাল পার হচ্ছেন অন্যদিকে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। বগুড়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানান- সাধারণ মানুষের পারাপারের সুবিধার্থে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত বিকল্প পথ তৈরি করতে বলা হয়েছে। জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার কদমা মাছের খামারের কাছে ঐতিহাসিক রক্তদহ বিলের প্রধান খালের ওপর ২০০৬ সালে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৬০ দশমিক ৯৬ মিটার দীর্ঘ বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়। এ সেতুর ওপর দিয়ে ৮-১০ গ্রামের লোকজন চলাচল করতেন। কিছুদিন পর সেতুটির পাটাতন খুলতে শুরু হয়। চুরি হচ্ছিল অ্যাঙ্গেল ও নাট-বল্টু। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় বাংলাদেশ প্রতিদিনে। এরপর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বেইলি সেতুর স্থানে আরসিসি সেতুর (ঢালাই) কাজ শুরু হয়। কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জুনে কাজের মেয়াদ শেষ হবে। নির্মাণ শুরুর পর দক্ষিণ দিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খালের ওপর একটি অস্থায়ী কাঠের সেতু ও দুই পাশে ইট ফেলে সড়ক নির্মাণ করে দেয়। টানা বৃষ্টি ও প্রবল স্রোতের কারণে বিকল্প সড়কসহ অস্থায়ী কাঠের সেতুটি ভেসে যায়। বন্ধ হয়ে যায় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল। রামপুরা গ্রামের বাসিন্দা অনিত পাল জানান, সেতুর বিকল্প পথটি ডুবে যাওয়ায় প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে সান্তাহার শহরে যেতে হতো। তিন-চার দিন ধরে পারাপারে নৌকা ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতি জন লোক পার করতে ৫ টাকা এবং ছোট যানবাহন পারাপারে ১০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। এ খেয়া নৌকা পাওয়া যায় সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। রাতে এরপর কেউ এলে আর পার হতে পারেন না। ফলে খালের পূর্ব পারের কদমা, করজবাড়ী ও রামপুরাসহ ৮-১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। নৌকার মাঝি জুয়েল হোসেন জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা লোক পারাপার করার জন্য চারজন মাঝি (চার সিফটে) ২ হাজার টাকায় কাজ করতে চুক্তি করা হয়। কিন্তু তারা (ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান) রাজি হয়নি। এ জন্য তিনি নৌকা দিয়ে পারাপারে জনপ্রতি ভাড়া নিচ্ছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক চঞ্চল সরদার জানান, মাসব্যাপী লোকজন পারাপার করতে নৌকার মাঝিরা ৯০ হাজার টাকা চেয়েছেন। এ জন্য তাদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়নি। স্রোত ও পানি কমলেই আবার কাঠের সেতু তৈরি করা হবে।

সর্বশেষ খবর