স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের আলমারিতে সাজানো বই খুঁজছে। পাতা উল্টেপাল্টে দেখছে কেউ। ইউএনও এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পাঠ মূল্যায়ন শুনছেন। তারপর পছন্দের বই নিয়ে খাতায় নাম-ঠিকানা লিখে চলে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। অনেকে আগে নিয়ে যাওয়া বই পড়ে ফেরত দিয়ে আবার নতুন বই নিচ্ছেন। এরই ফাঁকে পড়াশোনা, ক্যারিয়ার নিয়ে কথাবার্তাও হচ্ছে ইউএনওর সঙ্গে। ইউএনও তার অভিজ্ঞতা আর পরামর্শ শেয়ার করছেন। সম্প্রতি এমন দৃশ্য দেখা গেল পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে। ইউএনও মুশফিকুল আলিম হালিম জানান, আটোয়ারী উপজেলা প্রত্যন্ত এলাকা। এখানে একটি পুরনো লাইব্রেরি থাকলেও তা জরাজীর্ণ। আমি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে গেলে শিক্ষার্থীদের বই পড়ার আগ্রহ বুঝতে পারি। তাদের বই পড়ার ব্যাপারে আরও উদ্বুদ্ধ করি। আমার অফিসেই অনেক বই আছে। এগুলো কেউ পড়ে না। মনে হয়েছে বইগুলো কারও না কারও পড়া উচিত। এ চিন্তা থেকে শিক্ষার্থীদের আমার অফিসে এসে বই নিয়ে পড়ার আহ্বান জানাই। বর্তমানে সপ্তাহে দুই দিন (সোমবার ও বৃহস্পতিবার) শিক্ষার্থীরা বই নিয়ে যায়। পড়া শেষে ফেরত দিয়ে যায়। আমি মাঝে মাঝে তাদের কাছ থেকে পাঠ মূল্যায়ন শুনি। তাদের সঙ্গে সময় কাটাই। আটোয়ারী উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান জানান, আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন একজন ইউএনওর সঙ্গে কথা বলতে পারব এটা চিন্তাতেই আসত না। এখনকার ছেলেমেয়েরা ইউএনও অফিসে নির্দ্বিধায় যাচ্ছে, তার সঙ্গে কথা বলছে এটাও পড়াশোনার অংশ। তারা কাছে অনেক কিছু শিখছে। এটি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম জানান, অন্য উপজেলায়ও এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার প্রসার ঘটাতে আমরা এ জেলায় বিভিন্ন ধরনের কাজ করছি।