বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দেয়াল নির্মাণ করে রাস্তা বন্ধ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

দেয়াল নির্মাণ করে রাস্তা বন্ধ

বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথে ইটের দেয়াল -বাংলাদেশ প্রতিদিন

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ইটের দেয়াল নির্মাণ করে বড় ভাইয়ের বাড়ি থেকে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ছোট ভাই জামাল হোসেনের (৪৭) এমন কান্ডে পরিবার-পরিজন নিয়ে একরকম অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বড় ভাই নূর ইসলাম (৫৫)। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর মাস্টার পাড়ায়।  তারা উপজেলার মেসেরঘাট নবীনগর গ্রামের মৃত গনর উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয়দের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বিচার না পেয়ে নূর ইসলাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে।

সরেজমিন দেখা গেছে, নূর ইসলামের বাড়ি থেকে চলাচলের রাস্তায় ছোট ভাই ইটের দেয়াল নির্মাণ করেছেন। এখন তার চলাচলের আর কোনো রাস্তা নেই। এতে নূর ইসলামের পরিবার অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নূর ইসলাম ১৯৭৮ সালে তার দুই ভাই জামাল হোসেন ও আলম হোসেনের নামে ৩৩ শতাংশ জমি কেনেন। পরে জমি বণ্টন না করেই ১৯৮০ সালে নূর ইসলাম ও জামাল হোসেন বাড়ি করেন। বড় ভাই নূর ইসলামের বাড়ি ছোট ভাই জামালের বাড়ির পেছনে। নূর ইসলামকে জামাল হোসেনের বাড়ির পাশ দিয়ে যাতায়াত করতে হতো। ৪৩ বছর ধরে নূর ইসলাম ওই রাস্তা ব্যবহার করলেও এক মাস আগে পারিবারিক কলহের জেরে জামাল হোসেন ইটের দেয়াল তুলেছেন। তিনি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েন নূর ইসলাম ও তার পরিবার। তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে একরকম অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। ভুক্তভোগী নূর ইসলাম বলেন, আমি যখন জমি কিনি তখন ভাইয়েরা নাবালক ছিল। তবুও ভাইদের সমান ভাগ দিয়েছি। এখন ভাইয়েরা ইটের দেয়াল তুলে আমার যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। আমি পরিবার-পরিজন নিয়ে এক মাস ধরে অবরুদ্ধ হয়ে আছি। এ ব্যাপারে পাটগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করলে ওসি স্যার এএসআই মতিয়ার রহমানকে ডেকে নিয়ে দেয়ালটি ভেঙে দিতে বলেন। পরে তিনি এসে ফিরে যান। দেয়ালটি এখনো আছে। এ বিষয়ে জামাল হোসেন বলেন, আমি পৈতৃক সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণ করেছি। আমার অংশের জমিতে দেয়াল নির্মাণ করছি। আমি কারও রাস্তা বন্ধ করিনি। বাউরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম মিরন বলেন, বিষয়টি জানার পর সেখানে গিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে সমঝোতা করে দিয়েছি। দেয়াল নির্মাণ করেছেন ছোট ভাই তার জমিতে। এতে পরিবারটি অবরুদ্ধ হয়ে আছে। পাটগ্রাম থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর থানার এএসআই মতিয়ার রহমানকে সেখানে পাঠানো হয়েছিল। আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি মীমাংসা করার। পাটগ্রাম উপজেলার নির্বাহী অফিসার নুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানা নেই। ভুক্তভোগী পরিবার আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর