রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বর্জ্যে বিপন্ন কুমার নদ

ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ, দুর্ভোগে নদী পাড়ের মানুষ

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর

বর্জ্যে বিপন্ন কুমার নদ

কুমার নদে ফেলা আবর্জনার স্তূপ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মাদারীপুর পৌরসভার বর্জ্য ফেলে কুমার নদের পাড়ে একটি অংশ ভরাট করা হচ্ছে, অভিযোগ উঠেছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। দূষিত হয়ে পড়েছে ওই নদের পানি। এর দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নদের দুই পাড়ের বাসিন্দারা। পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি ময়লা ফেলে সাধারণ মানুষ।

সরেজমিন দেখা গেছে, মাদারীপুর পৌরসভার কূল ঘেঁষে বয়ে চলছে কুমার নদ। এ নদকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে চরমুগরিয়া বন্দর। চরমুগরিয়া বন্দরের পাটগলির মাথায় দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলায় নদ ভরাট ও দূষিত হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নৌঘাটের পাড়ে দীর্ঘদিন ধরে ফেলা হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য। কুমার নদ তীরবর্তী এলাকায় গতকাল গিয়ে দেখা যায়,  পৌরসভার ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা এবং চরমুগরিয়া কাঁচাবাজারের সব ময়লা-আবর্জনা কুমার নদের পাড়ে ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া রয়েছে চরমুগরিয়া বন্দরের ছয় থেকে সাতটি ক্লিনিকের বর্জ্য। পানিপ্রবাহ কম থাকায় বর্জ্যরে স্তূপ জমে নদের অনেকখানি ভরাট হয়ে গেছে। পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে বর্জ্য।

চরমুগরিয়া বন্দরের পাশের বাসিন্দা জিতু আহসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা পৌরসভার ময়লা ফেলছে। এতে ভরাট হয়ে গেছে নদের একাংশ। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আমরা চাই নদী বাঁচুক, বাঁচুক পরিবেশ। পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার প্রধান ডা. হরষিত বিশ্বাস দাবি করেন, ময়লা-আবর্জনা ফেলার বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে যদি কেউ ময়লা ফেলে থাকে তাহলে তা বন্ধের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিগগিরই পৌরসভার নিজস্ব ভাগাড় ও ডাম্পিং স্টেশন করা হবে। তখন আর পৌরসভার বর্জ্য নিয়ে কোনো সমস্যা থাকবে না। মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন বলেন, ‘কুমার নদে পৌর কর্তৃপক্ষ ময়লা ফেলে না। স্থানীয় লোকজন হয়ত ফেলে থাকতে পারে। নদে যাতে ময়লা না ফেলা হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা  নেওয়া হবে।’

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর