রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানার জঞ্জাল

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানার জঞ্জাল

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পাহাড়ি ঢলে ভেসে আসা কচুরিপানার জঞ্জালে হুমকিতে পড়েছে মাছ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা। স্থানীয়রা বলছে, এসব কচুরিপানা দ্রুত অপসারণে ব্যবস্থা করা না হলে এর রূপ হতে পারে আরও ভয়াবহ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি টানা বর্ষণের পর সীমান্ত থেকে ভেসে আসছে কচুরিপানা। এই কচুপানার জঞ্জাল জমতে জমতে এখন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এতে আটকা পড়ছে নৌযান। ভোগান্তি বেড়েছে রাঙামাটি বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, লংগদু, নানিয়ারচর ও বাঘাইছড়ি উপকুলবাসীর। নৌযানে হুমকির পাশাপাশি থমকে গেছে নৌপথে ছয়টি উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা। জেলেদের জালও আটকা পড়ছে। রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের মাছ শিকারি শংকর দাস বলেন, জাল ফেললে মাছ নয়, আটকা পড়ছে কচুরিপানা। ছিঁড়ে গেছে জাল। কাপ্তাই হ্রদে এ মৌসুমে প্রচুর মাছ আহরণের আশা করেছিলাম। এখন সেভাবে জাল ফেলতে পারছে না জেলেরা এ কারণে। একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিলাইছড়ি উপজেলার চাষি মিনতি চাকমা। তিনি বলেন, নৌপথে ভোগান্তি বেড়েছে। ঠিকমতো বাজারে যেতে পারি না। বিলাইছড়ি থেকে রাঙামাটি তবলছড়ি বাজারে আসতে বোট আটকে যায়। তাই হাটবারে সঠিক সময় কৃষিপণ্য বাজারজাত করা যায় না।

রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মো. মঈন উদ্দীন সেলিম বলেন, কচুরিপানা অপসারণ করা না হলে সমস্যা ব্যাপক আকার ধারণ করবে। পর্যটন মৌসুম শুরু হচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণে আসবে পর্যটক। তাদের জন্য নৌপথে চলাচলে হুমকি হয়ে দাঁড়াবে এটা। এর আগেও পর্যটকদের নৌযান কচুরিপানায় আটকা পড়েছিল।  কাপ্তাই ৪ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আবদুল লতিফ বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে এক্ষেত্রে স্থায়ী সমাধান আসবে না। প্রতিদিন ভেসে আসছে এসব কচুরিপানার জঞ্জাল। যা ঘাট ব্লক করে রেখেছে। নৌকা ঘটে আসতে পারছে না। নৌপথে জরুরি রোগী নিয়ে আসতেও অনেক কষ্ট হচ্ছে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান জানান, এ জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর