সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিন দশক বন্ধ মোগলহাট বন্দর

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

তিন দশক বন্ধ মোগলহাট বন্দর

একসময়ের কর্মচঞ্চল বন্দর এলাকা এখন সুনসান -বাংলাদেশ প্রতিদিন

এক সময় লালমনিরহাটে ধরলা নদী তীরবর্তী মোগলহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ ছিল। ৮৮ সালের বন্যায় বন্দরের ভারত সীমান্তে রেল সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বন্ধ হয় ট্রেন চলাচল। এরপর ধীরে ধীরে বন্ধ হয় এ বন্দরের সব কার্যক্রম। এখন এ পথে যাতায়াতকারী ও ব্যবসায়ীদের প্রায় ১০০ কিলোমিটার ঘুরে ভারত-বাংলাদেশ চলাচল করতে হচ্ছে। এতে বেড়েছে ব্যয় ও ভোগান্তি। বন্দরের কার্যক্রম পুনরায় চালুর দাবি তোলেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা। বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পুনরায় চালুর আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি। ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানান, মোগলহাট বন্দরে শুল্ক স্টেশন এবং চেকপোস্ট পুনরায় চালু হলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও ভুটানের বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান। আশরাফুল আলম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এখানে কাস্টমস ইমিগ্রেশন ছিল। মোগলহাট দিয়ে ভারতে ট্রেনও চলত। তখন ব্যবসায়ীদের পদচারণে মুখর ছিল এ অঞ্চলে। বর্তমানে সবই বন্ধ। স্থানীয় আহসান হাবিব রাজু বলেন, শুনেছি পোর্টটি আবার চালু হবে। দুই বছর আগে লালমনিরহাট শহর থেকে মোগলহাট পোর্ট এলাকার ধরলা নদী পর্যন্ত সড়কের উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। পোর্ট চালুর বিষয়টি এখনো আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ। লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক আবদুল খালেক বাবু বলেন, মোগলহাট বন্দর বন্ধ হওয়ায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার ঘুরে ভারতে যাতায়াত করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। পোর্টটি আবার চালু হলে ব্যবসায়ীদের ব্যয় কমবে। এ ছাড়া এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে দ্রুত মোগলহাট পোর্ট চালুর দাবি জানান এই ব্যবসায়ী নেতা। মোগলহাট বন্দরের কার্যক্রম পুনরায় চালুর বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আশা করছি খুব শিগগিরই অগ্রগতি দেখতে পাব। লালমনিরহাটের অর্থনীতি এগিয়ে নিতে মোগলাহাট বন্দরের সব কার্যক্রম দ্রুত চালু করা উচিত বলে মনে করেন জেলা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তা সুকান্ত দাস। তিনি বলেন, ৮৮ সালের বন্যায় ধরলা নদীর ওপর রেল সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হলে দুই দেশের যোগাযোগ বন্ধ হয়। পরে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায় কাস্টমসসহ বন্দরের সব কার্যক্রম।

সর্বশেষ খবর