ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের ইসলামপুর ও মোলারহাটের রাজবাড়ীয়া গ্রামকে সড়ক পথে যুক্ত করেছে একটি সেতু। খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ১০ বছর ধরে ভেঙে জরাজীর্ণ পড়ে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। নারী, বয়স্ক মানুষ, রোগী ও শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০ বছর আগে সেতুটির মাঝখানের বড় একটি অংশ ধসে পড়ে। স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা তুলে কাঠ দিয়ে ভাঙা অংশ প্রতি বছর সংস্কার করা হয়। অনেক গাড়ি ও লোক চলাচল করায় সংস্কার করলেও বেশি দিন টিকে না। ফলে গ্রামীণ জনপদের মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বছরের পর বছর পার হলেও এটি সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সরেজমিন দেখা যায়, ভাঙা সেতু দিয়ে রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যানগাড়িসহ যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। ভারী যান চলাচল না করতে পারায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা। মোলারহাট ইউনিয়নের রাজা বাড়িয়া গ্রামের আবদুল বারেক বলেন, ছেলে-মেয়েকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে যেতে ভয় লাগে। অসুস্থ কাউকে চিকিৎসার জন্য শহরে নেওয়া খুবই কষ্টকর। আমাদের দাবি দ্রুত একটি সেতু নির্মাণ করার। রানাপাশা ইউনিয়নের ইসালাবাদ গ্রামের আবু সাঈদ বলেন, সেতুটির কারণে হাজার হাজার মানুষ বছরের পর বছর দুর্ভোগে আছেন। কেউ নতুন করে সেতু তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছেন না। অটোচালক দেলোয়ার ও রাজ্জাক বলেন, প্রতিদিন এ সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে অটোরিকশা পারাপার করতে হয়। এক ইউনিয়ন থেকে আরেক ইউনিয়নে যেতে ব্যবহার করতে হয় এ সেতু। কিছুদিন আগে সেতুতে একটি টমটম উল্টে যায়। আমরা যাত্রী নামিয়ে গাড়ি পার করি। নলছিটি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ইকবাল কবীরের কাছে সেতুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। ঝালকাঠির নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম সরকার বলেন, সেতুটি নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করব।