বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফলের চারা-ফুল যাচ্ছে বিদেশে

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

ফলের চারা-ফুল যাচ্ছে বিদেশে

গাইবান্ধার মায়ের দোয়া নার্সারির ফলের চারা ও ফুল তুরস্কে রপ্তানি হচ্ছে। আরও আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশ। জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামুদরপুর ইউনিয়নের কিশামত দশলিয়া গ্রামের আবদুর রহিম ২০১৯ সালে গড়ে তোলেন এই নার্সারি।

সরেজমিনে দেখা যায়, ওই নার্সারিতে রয়েছে চায়না মাল্টা, আম্রপালি, হাঁড়িভাঙা, বারি-৪, চিয়াংমাই, ডকমাই, থাই কাটিমন, বারি-১১ থাই পেয়ারা, গোলাপজাম, নারিকেল, সুপারিসহ শতাধিক জাতের ৫০ থেকে ৬০ হাজার ফুল ও ফলের চারা। এর মধ্যে আম, কাঁঠাল, লিচু, ছবেদা, আমড়া, বলকামিনির চারা আগামী মাসে তুরস্কে পাঠানো হবে বলে জানান আবদুর রহিম। এ জন্য তিন মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। তিনি গত বছর সমুদ্রপথে চারা পাঠান তুরস্কে। এই নার্সারি থেকে দেশেও প্রতি মাসে আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকার চারা বিক্রি হয়। ছোট ভাইয়ের পরামর্শে ২০ শতক জমিতে নার্সারি শুরু করেন আবদুর রহিম। এখন এর আয়তন বেড়ে হয়েছে ২০ বিঘা। আবদুর রহিম বলেন, যারা বেকার, তারা আসুক আমার নার্সারি ভিজিট করুক। বেকার না থেকে নার্সারি করার পরামর্শ দেন এই উদ্যোক্তা। স্থানীয়রা জানান, আবদুর রহিম সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। তার সাফল্যে অনুপ্রেরণা জেগেছে অনেকের মাঝে। অনেকেই উদ্যোগী হচ্ছেন নার্সারি তৈরিতে। কলেজ শিক্ষার্থী সোহন মিয়া জানান, আবদুর রহিম একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি নার্সারির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন। তাকে দেখে অনেক তরুণ নার্সারির দিকে ঝুঁকেছে। নার্সারিতে চারা কিনতে আসা উপজেলার দামুদরপুর ইউনিয়নের মিজানুর রহমান বলেন, চারার প্রয়োজন হলেই আবদুর রহিমের নার্সারিতে আসেন তিনি। প্রতিটি ইউনিয়নে তিন হাজার গাছ লাগাতে হবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এমন নির্দেশে চারা কিনতে এসেছেন তিনি। গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, আবদুর রহিম তার নার্সারি থেকে গত বছর প্রায় ১০ লাখ টাকার চারা তুরস্কে রপ্তানি করেছেন। এ বছর আরও ১৫ লাখ টাকার ফল ও ফুলের চারা রপ্তানির প্রস্তুতি নিয়েছেন। জেলায় ১৫৫ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিক নার্সারি গড়ে উঠেছে। এ বছর এই জেলা থেকে ১০ লাখ ফল ও ঔষধি গাছের চারা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর