বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মেঝেতে পানি চারপাশে কচুরিপানা

রাশড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

মেঝেতে পানি চারপাশে কচুরিপানা

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার রাশড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারপাশে বর্ষাকালে কচুরিপানা জমা হয় ও মেঝেতে পানি ওঠে। বন্যার পানি মেঝে থেকে নেমে গেলেও এর চারপাশে কচুরিপানা থেকেই যায়। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হয়। বর্ষাকালে নৌকায় করেই বিদ্যালয়ে আসতে হয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী তানজিলা আক্তার তন্নি জানায়, বর্ষা হলে স্কুলের চারপাশে পানি উঠে, আমরা পড়াশোনা করতে পারি না। কয়েকদিন আগেও পানি উঠেছিল তখন স্কুলেও যেতে পারি নাই। টাগই (কচুরি) পানায় ভরে গেছে চারপাশ। নৌকা নিয়ে আসতেও কষ্ট হয়। অন্যান্য স্কুল খোলা আছে কিন্তু আমাদের স্কুল বন্ধ। আমরা পড়াশোনা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছি। আরেক শিক্ষার্থী প্রসেনজিৎ সরকার জানায়, কষ্ট করে আমাদের ক্লাসে আসতে হয়। আমরা সুন্দর পরিবেশে পড়াশোনা করতে চাই। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের মিয়া জানান, দুই বছর ধরে শুনছি বিদ্যালয়টির নতুন ভবন করা হবে। এখনো কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এই এলাকাটি নিম্নাঞ্চল হওয়ায় বর্ষাকাল এলে মাঠে ও মেঝেতে পানি ওঠে। বিদ্যালয়ের মেঝে থেকে পানি নেমে গেলেও চারপাশেই কচুরিপানা রয়েছে। রাশড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হোসনে আরা আক্তার পপি বলেন, আমি ২০১৮ সালে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করি। এরপর থেকেই আমি চেষ্টা করছি নতুন ভবন ও বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্র আনার জন্য। নিচে খোলা থাকবে আর ওপরে পাঠদান চলবে। গত বছরও আবেদন করেছি। ২০২১ সালে বড় বন্যা হলে ছবিসহ আবেদন করেছি। কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয় না। এ বছরও আমি অফিসারদের ম্যাসেঞ্জারে বিদ্যালয়ের ছবি পাঠিয়েছি। তারা যদি ব্যবস্থা না নেন আমার তো করার কিছু নাই। তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ের চারপাশে কচুরিপানা রয়েছে। মেঝেতে এক ফুট পানি ছিল। দ্বিতীয় সাময়িকে তিনটি পরীক্ষা বিদ্যালয়ে নিতে পেরেছি। বাকি তিনটি পরীক্ষা রাশড়া করিম বাজার গ্লোবাল কিন্ডার গার্ডেনে নিতে হয়েছে। তিনটি পরীক্ষা নেওয়ার পর বিদ্যালয়ের মেঝেতে পানি চলে আসে। পানি মেঝে থেকে নেমে গেলেও বিদ্যালয়ের চারপাশে কচুরিপানা রয়েছে। আশা করছি সামনের সপ্তাহে থেকে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালু করতে পারব। বাসাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনজুম আরা বেগম বীথি জানান, আমি এখানে নতুন এসেছি। শুনতে পেরেছি এই বিদ্যালয়টিতে প্রতি বছর পানি ওঠে। আরও কিছু বিদ্যালয়েও পানি ওঠে। এই বিদ্যালয়গুলো বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্র করা দরকার।

সর্বশেষ খবর