শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্যালাইন মিলছে না হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

স্যালাইন মিলছে না হাসপাতালে

বগুড়ায় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ৮০ টাকার স্যালাইন বিক্রি করা হচ্ছে ২৫০ টাকায়। রোগীদের জিম্মি করে ব্যবসা করছে ওষুধ কোম্পানিগুলো। তাদের মুনাফা বাণিজ্যে অসহায় হয়ে পড়েছেন মানুষ। বিশেষ করে ফ্লুইড স্যালাইন সংকটে জরুরি চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। রোগী ও স্বজনরা পড়ছেন বিপাকে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে মিলছে না স্যালাইন। শুধু সরকারি হাসপাতাল নয়, বাইরের ফার্মেসিতেও পাওয়া যাচ্ছে না চিকিৎসাসেবায় অত্যাবশ্যক এ পণ্য। কিছু ওষুধের দোকানে পাওয়া গেলেও ৮০-৯০ টাকার স্যালাইন কিনতে হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। জানা যায়, বগুড়ার শেরপুরে অপসোস্যালাইন, লিবরাইনফিউশন, অরিওন ইনফিউশন, দি একমি ল্যাবরেটরিজ ও পপুলার কোম্পানি ডিএনএস ও নরমাল স্যালাইন সরবরাহ করে থাকে। শেরপুর উপজেলা ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান নিলু জানান, শেরপুরে ১৬টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এসব ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারি, সিজারিয়ান অপারেশন, গলব্লাডারের পাথর অপারেশন, এপেন্ডিসাইটিসসহ বিভিন্ন অপারেশন করা হয়। অপারেশনের জন্য ফ্লুইড সালাইন অত্যাবশ্যক। প্রায় তিন মাস ধরে চাহিদার তুলনায় স্যালাইন কম সরবরাহ করছে কোম্পানিগুলো। ফলে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। শেরপুর হাসপাতাল রোডের ওষুধ ব্যবসায়ী আবু সামা জানান, প্রতিদিন আমাদের যে ফ্লুইডের চাহিদা থাকে সে তুলনায় কোম্পানিগুলো খুব কম সরবরাহ করছে। রোগীর স্বজনরা ফ্লুইড না পেয়ে দোকানে দোকানে ছোটাছুটি করছে। শেরপুর লাইফ লাইন ক্লিনিকের পরিচালক আবদুল হান্নান জানান, প্রতি মাসে আমাদের ক্লিনিকে ৪০০ থেকে ৫০০ লিটার ডিএ, ডিএনএস, হার্টসল ও সিএস স্যালাইন প্রয়োজন হয়। দুই মাস ধরে কোম্পানিগুলো ৫০ থেকে ৬০ লিটার স্যালাইন সরবরাহ করছে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এ কারণে আমরা জরুরি অপারেশন ও মূমুর্ষূ রোগীর চিকিৎসা করতে পারছি না। তাজুল ইসলাম নামে এক স্বজন জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত তার আত্মীয়কে শেরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে না। বাইরের দোকানে ঘুরেও স্যালাইন পাচ্ছি না। শেরপুর উপজেলার দায়িত্বে থাকা অপসোস্যালাইনের ম্যানেজার মন্টু দাস জানান, হঠাৎ ফ্লুইড স্যালাইনের চাহিদা বেড়েছে। চাহিদা মতো স্যালাইন সরবরাহ করা যাচ্ছে না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে স্যালাইন সরবরাহ কম থাকায় চাহিদা অনুযায়ী দিতে পারছি না।

সর্বশেষ খবর