কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বারোমাসিয়া নদীর ওপর নির্মিত দুটি বাঁশের সাঁকো ভেঙে গেছে। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ। সাঁকো দুটি ভেঙে যাওয়ার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও সংস্কার না হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন মানুষ। স্বাধীনতার ৫২ বছরেও বারোমাসিয়া নদীতে সেতু নির্মাণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জনপ্রতিনিধিরা। যুগের পর যুগ স্থানীয়রা নিজস্ব উদ্যোগে সাঁকো দুটি মেরামত করে চলাচল উপযোগী করছেন। সরেজমিন দেখা যায়, ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিষামত শিমুলবাড়ী এলাকায় নবিউরের ঘাটে প্রায় ২০০ ফুট লম্বা সাঁকোর বড় অংশ ভাঙা। দেড় থেকে দুই মাস আগে এ সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ার পর স্থানীয়দের নদী পারাপারে দুর্ভোগ নেমে আসে। অনেকে বুকপানি সাঁতরে নদী পার হচ্ছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলাম নিজ উদ্যোগে কিছু বাঁশ সংগ্রহ করে সাঁকোটি মেরামতের উদ্যোগ নেন। কিন্তু অর্থের অভাবে মেরামত কাজ বন্ধ রয়েছে। রাশেদুল ইসলাম বলেন, ভাঙা সাঁকো দ্রুত মেরামতের জন্য আমরা উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছি। অন্যদিকে, পশ্চিমফুলমতি বারোমাসিয়া নদীর ওপর নির্মিত সাঁকোটি ভেঙে পড়েছে আড়াই মাস আগে। এতে সেখানকার বাসিন্দারাও পড়েছেন বিপাকে। সাঁকো মেরামত না করায় শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের চলাচলে মারাত্মকভাবে ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষার্থীরা ডিঙি নৌকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন নদী পার হলেও তাদের কষ্টের সীমা নেই। পশ্চিমফুলমতি এলাকার ইব্রাহিম আলী, সিদ্দিক মিয়া ও মজিবর রহমান জানান, বারোমাসিয়া নদী ধরলার একটি উপশাখা। যা সরাসরি ভারত থেকে প্রবেশ করে উপজেলার মূল ধরলা নদীতে এসে মিশেছে। এই উপশাখা নদীর ওপর দুটি বাঁশের সাঁকো রয়েছে। প্রতি বছর আমরা নিজেদের উদ্যোগে সাঁকো মেরামত করে পারাপারের উপযোগী করি। তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও এ নদীর ওপর সরকারিভাবে কোনো সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এভাবে সাঁকো দিয়ে পারাপার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তার ওপর সেটি ভেঙে গেছে। এখন আমরা সাধারণ মানুষ কীভাবে যাতায়াত করব। ফুলবাড়ীর ইউএনও শিব্বির আহমেদ বলেন, দ্রুততম সময়ে যাতে নদীর ওপর সাঁকো দুটি মেরামত করা যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।