সিরাজগঞ্জে উল্লাপাড়া উপজেলার দহকুলা গ্রামে অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসার জন্য জমি বিক্রি করায় ছেলের বউ নাজমা খাতুন (৫৫) খুন করে শাশুড়ি মোমেনা বেওয়াকে (৮০)। হত্যার সাত বছর পর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হত্যায় জড়িত নাজমা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই। হত্যার শিকার মোমেনা বেওয়া উপজেলার দহকুলা গ্রামের মৃত আবদুল গনির স্ত্রী। সিরাজগঞ্জ পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। পুলিশ সুপার জানান, মোমেনা বেওয়ার স্বামীর মৃত্যুর পর নাজমা ও নাতিদের সঙ্গে বসবাস করতেন। তার নামে কিছু জমি ছিল। মেয়ে সালমা অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসার জন্য কিছু জমি বিক্রি করেন তিনি। এ ছাড়া নাজমা অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। এ দুটি ঘটনা নিয়ে পুত্রবধূ ও নাতিদের সঙ্গে ওই বৃদ্ধার মনোমানিল্য হয়। এরই জেরে মোমেনাকে হত্যা করে নাজমা।
পরিকল্পনা করে পুত্রবধূ ও নাতিরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৬ সালের ২৭ মে রাতে মোমেনাকে হত্যা করে তারা। পরনের শাড়ি দিয়ে ঘরের মধ্যে লাশ ঝুলিয়ে রাখে তারা। পরে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় মেয়ের জামাই মাহবুবুল আলম বুলু বাদী হয়ে উল্লাপাড়া থানায় একটি মামলা করেন। পরে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় বৃদ্ধ মোমেনা বেওয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।