বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সেতুর জন্য ভোগান্তি

পিছিয়ে ছয় ইউনিয়নের মানুষ

মাসুম হেলাল, সুনামগঞ্জ

সেতুর জন্য ভোগান্তি

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার হালুয়ারঘাট এলাকায় সুরমা নদীতে সেতু না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য, যাতায়াত, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ নানা ক্ষেত্রে  ভোগান্তি পোহাতে হয় লাখ লাখ মানুষকে। বিশেষ করে ছয়টি ইউনিয়নের দুই লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগের শিকার হন। এসব মানুষ জীবনযাপনের মৌলিক সূচকে পিছিয়ে আছেন। স্থানীয়রা জানান, সুরমা নদীর উত্তরপাড়ের সুরমা, জাহাঙ্গীরনগর, রঙ্গারচর এবং দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর, সুরমা ও বাংলাবাজার ইউনিয়নের মানুষ জেলা সদরে এই পথে যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে খেয়া পার হতে হয়। সুরমা নদীতে সেতু নির্মাণ হলে ওই ছয়টি ইউনিয়নের মানুষ যাতায়াতের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও এগিয়ে যাবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রোগীদের জন্যও সহজ হবে যাতায়াত। স্থানীয় কৃষিপণ্য ও ধোপাজান মহালের বালু-পাথর সড়কপথে দেশের নানা প্রান্তে সহজে পরিবহন সম্ভব হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে গন্তব্যে যেতে পারবেন তারা। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ জেলা সদর থেকে উত্তরপাড়ের ছয়টি ইউনিয়নকে যে সড়কটি যুক্ত করেছে তা হালুয়ারঘাট এলাকায় সুরমা নদী দ্বারা বিভক্ত হয়ে গেছে। স্টিলের নৌকার একটি খেয়ায় মানুষ, গবাদিপশু, নানাবিধ পণ্য পরিবহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেলও পারাপার করছেন। এতে পারাপার একদিকে যেমন সময়সাপেক্ষ তেমনি ঝুঁকিপূর্ণও। প্রতিকূল আবহাওয়ায় বেড়ে যায় ঝুঁকির মাত্রা।  বেরীগাঁও গ্রামের কৃষক আবদুল কাদির বলেন, আমাদের এলাকায় ধানের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি আবাদ হয়। কিন্তু সেতু না থাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহন কষ্টসাধ্য। সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম বলেন, হালুয়ারঘাট এলাকায় সেতু নির্মাণের জন্য প্রাথমিক কাজ বেশ এগিয়েছে।  সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, জাতীয় সংসদে এই সেতুর জন্য সর্বপ্রথম আমিই দাবি উত্থাপন করেছি। সেটি বারবার বলেছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন দিয়েছি।

সর্বশেষ খবর