শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্কুল ভাঙচুর, অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

স্কুল ভাঙচুর, অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা

লক্ষ্মীপুরে রাতের আঁধারে স্কুলে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দফায় দফায় হামলায় ১০টি সেমিপাকা ও দুটি টিনশেড শ্রেণিকক্ষ ভাঙচুর করা হয়। সদর উপজেলার পালেরহাট মডেল একাডেমিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ও গতকাল ভোরে এ হামলা হয়। হামলাকারীরা দুটি ল্যাপটপ ও শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের লাখ টাকা নিয়ে গেছে। এতে ২৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থীর পাঠদান অনিশ্চয়তায় পড়েছে- জানান স্থানীয়রা। প্রতিষ্ঠানপ্রধান মোরশেদ কামাল ও তার বড় ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, তাদের মা ফাতেমা বেগম এ জমির মালিক। ২০১৪ সালে ওই জমিতে বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। তাদের মায়ের চাচাতো ভাই তোফায়েল আহমেদ, আবু তাহের ও খোরশেদরা জমির মালিকানা দাবি করে আসছেন। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার বৈঠক হলেও তারা জমির কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি। সবশেষ ১৩ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বৈঠকেও কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেনি তোফায়েলরা। জোরপূর্বক জমি দখল করতে বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে বিদ্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। বাজারের একজন নৈশপ্রহরীর কাছে খবর পেয়ে ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ যাওয়ার পর গতকাল ভোরে আবার ভাঙচুর চালায়। এতে বাধা দিলে মোরশেদকে মারধর করে।

শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত ও মেহেদী হাসান জানান, বৃহস্পতিবারও তারা ক্লাস করেছে। সামনে বার্ষিক পরীক্ষা। এমন মুহূর্তে স্কুলটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন তারা কোথায় ক্লাস করবে। এ নিয়ে অভিভাবকরাও চিন্তিত। অভিযুক্ত তোফায়েল আহমেদের দাবি, জমিটি তাদের। জোরপূর্বক এটি দখল করা হয়েছে। ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি মোসলেহ উদ্দিন বলেন, সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর