শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

টানা বর্ষণে সবজির ক্ষতির আশঙ্কা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুর অঞ্চলে কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে আগাম সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষক। তারা জানান, বীরগঞ্জে কৃষির ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে এই এলাকার বেশির ভাগ মানুষ। সরাসরি কৃষিকাজ ও চাষাবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা। আর্থিকভাবে অধিক লাভ ও স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় এলাকার অধিকাংশ কৃষক পতিত জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন।

এসব সবজির মধ্যে রয়েছে ফুলকপি, পাতাকপি, শিম, মুলা, কাঁচামরিচ, টমেটো, বরবটি, বেগুন, পালংশাক, লালশাক, লাউ অন্যতম। অতিবৃষ্টির ফলে বীরগঞ্জ উপজেলার সবজিগ্রামখ্যাত            সাতোর ইউপির প্রাণনগরসহ মোহনপুর, শিবরামপুর, সুজালপুর, শতগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মাঠে থাকা আগাম সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সবজি চাষিরা। সেই সঙ্গে বৃষ্টিতে নেতিয়ে পড়েছে সবজি গাছের চারা এবং পানিতে পচতে শুরু করেছে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, কয়েক দিনের তাপদাহের পর গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপজেলায় ৪৮ মিলিমিটার এবং বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বীরগঞ্জ কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বীরগঞ্জ উপজেলার মোট আবাদি জমির পরিমাণ ৩২ হাজার ৮৯৬ হেক্টর। এর মধ্যে ৯০০ হেক্টর জমিতে আগাম সবজি চাষ হয়েছে। এবার খরিপ-২ মৌসুমে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৯৫২ হেক্টর জমিতে এবং রবি মৌসুমে ২ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের শীতলাই গ্রামের সবজিচাষি গ্রামের আবু রায়হান জানান, বৃষ্টির জলাবদ্ধতায় ফুলকপির গাছগুলো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে এবং নেতিয়ে পড়েছে মাটির সঙ্গে।

বীরগঞ্জ উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল কাসেম জানান, মোট সবজি চাষের পরিমাণ ৭০ হেক্টর জমিতে। তাপদাহের পর বর্তমানে টানা বৃষ্টির ফলে আগাম সবজি চাষে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। অতিবৃষ্টির ফলে শিকড়ে পচন ধরতে চারা মরে যেতে পারে। এতে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন আমাদের কৃষক।

সর্বশেষ খবর