রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ব্যানার-ফেস্টুনে দৃশ্যদূষণ

রাজবাড়ীর প্রধান সড়কে নেতা আর কোচিং সেন্টারের বড় বড় ছবি

দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী

ব্যানার-ফেস্টুনে দৃশ্যদূষণ

রাজবাড়ীর পৌরসভার প্রধান সড়কে এভাবেই সাঁটানো হচ্ছে ফেস্টুন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজবাড়ী পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়ক ঢেকে গেছে ব্যানার-ফেস্টুন আর তোরণে। বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে শুরু করে ল্যাম্পপোস্ট, এমনকি গাছের সঙ্গেও লাগানো হয়েছে রাজনৈতিক বা বাণিজ্যিক পোস্টার। এতে সৌন্দর্য হারাচ্ছে সবুজের রাজবাড়ী শহর। সরেজমিনে দেখা যায়, রাজবাড়ী পৌরসভার বড়পুল থেকে শুরু করে ১ নম্বর রেলগেট পর্যন্ত সড়কে তোরণ, বিলবোর্ড আর ব্যানার-ফেস্টুনের রাজত্ব। মুখচেনা বড় নেতা, এলাকার পাতি নেতা, যে যেভাবে পেরেছেন নিজের বড় বড় ছবি সংবলিত ব্যানার, পোস্টার লাগিয়েছেন।  রাজবাড়ী পৌরসভার কয়েক বাসিন্দা বলেন, এটি ছোট্ট একটি শহর। এ শহরের সৌন্দর্য-ঐতিহ্য রয়েছে। জেলা পরিষদ থেকে রাজবাড়ীর ১ নম্বর রেলগেট হয়ে রাজবাড়ী মুরগির ফার্ম পর্যন্ত সড়কে সবুজ গাছ লাগিয়েছে পৌরসভা। কিন্তু বর্তমানে ব্যানার-ফেস্টুন শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করছে। এগুলো দ্রুত অপসারণের দাবিও জানান তারা। রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সামনে থেকে বড়পুল পর্যন্ত গতকাল দেখা যায় বিভিন্ন কোচিং সেন্টার, কয়েক নেতার ব্যানার-ফেস্টুন। সম্প্রতি রাজবাড়ী পৌরসভাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়েছেন আবদুল কাদের ফকীর। তিনি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রার্থী। তিনি বলেন, আমার ফেস্টুনগুলো বড় নেতাদের হাঁটুর নিচে। দীর্ঘদিন জেলা আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতার তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুন রয়েছে। আমি সবেমাত্র এসব ফেস্টুন লাগিয়েছি। শিক্ষক সমিতির সম্মেলনের পর আমার ফেস্টুন নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেব।

ইউসিসি কোচিং সেন্টার ৩৫টি ফেস্টুন লাগিয়েছে শহরের বিভিন্ন স্থানে। রাজবাড়ী ইউসিসি কোচিং শাখার পরিচালক মেহেদী চিশতি বলেন, আমরা কলেজের সামনে ফেস্টুন লাগিয়েছি। আমরা শুধু কলেজের সামনেই এগুলো লাগিয়ে থাকি। রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতু বলেন, মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করা হয়। কয়েকদিন পর পরই কিছু নেতা আর ব্যবসায়ী ব্যানার-ফেস্টুন লাগান। দ্রুত আমরা কঠোর অবস্থানে যাব। কোনোভাবেই শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হতে দেব না।

সর্বশেষ খবর