সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত

প্রতিদিন ডেস্ক

টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত

দিনাজপুর শহরে জলাবদ্ধতা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

টানা বৃষ্টি দেশের উত্তরাঞ্চলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেক রাস্তাঘাট, বাড়িঘর এবং ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেটও খুলে দিতে হয়েছে। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

লালমনিরহাট : গত দুই দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে চরের নিম্নাঞ্চলের  মানুষ বন্যার আশঙ্কা করছেন। গতকাল বিকালে হাতীবান্ধা উপজেলার  তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ০৭ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার দশমিক ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রংপুর : নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ড এবং আট উপজেলার সড়ক, মহা-সড়কের অনেক স্থানে হাঁটু পর্যন্ত পানি উঠেছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত  দিয়ে শুরু হলেও রাত ১০টা থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় এই অঞ্চলে। শনিবার রাত ১২টা থেকে রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত রংপুরে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৬২ মিলিমিটার। টানা বৃষ্টির ফলে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ কাজের অভাবে কষ্টে রয়েছেন। নগরীর অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও ক্রেতা ছিল শূন্যের কোঠায়। বগুড়া : পানি নিষ্কাশনে ভালো ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে দীর্ঘসময় ডুবে থাকছে জেলা শহরসহ বগুড়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা। শহরের বিভিন্ন এলাকায় কাদা ও হাঁটু পানি জমে যায়। এতে এখানকার বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রধান প্রধান সড়কেও পানি জমে থাকায় শহরে সৃষ্টি হয় যানজট।

জানা যায়, বগুড়া পৌরসভার উন্নয়নে অনেক কাজ হলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থার কোনো উন্নয়ন হয়নি।

দিনাজপুর : ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুর শহরের রাস্তাসহ নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টিতে তলিয়েছে শহরের বিভিন্ন রাস্তা। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। রাস্তার আর ড্রেনগুলোর পানি একাকার। সাধারণ মানুষ পড়েছেন দুর্ভোগে। গতকাল সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

সৈয়দপুর (নীলফামারী) : নীলফামারীর সৈয়দপুরে টানা বৃষ্টিপাতে শহরের প্রায় ৮০ ভাগ রাস্তাঘাট হাঁটুপানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শহরের কুন্দল এলাকায় খড়খড়িয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির তোড়ে পাটোয়ারীপাড়া শহর রক্ষাবাঁধ ১০০ মিটার ভেঙে গেছে। সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ভেঙে যাওয়া শহর রক্ষাবাঁধ জরুরিভিত্তিতে মেরামতের কাজ চলছে। গত শনিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিপাতে এমন বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর