শিরোনাম
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভেজাল বীজে কৃষকের কান্না

মেহেরপুর প্রতিনিধি

ভেজাল বীজে কৃষকের কান্না

মেহেরপুরের সবজি গ্রাম খ্যাত চকশ্যামনগর, বাড়াদিসহ কয়েক এলাকার ৫০০-এর বেশি কৃষকের হাসি-কান্নায় রূপ নিয়েছে। তাদের অভিযোগ জেবিটি সিডসের রাজাসান জাতের কপির বীজে চারা গজালেও কোনো পাতা বাঁধেনি। একেকটি গাছের তিন-চারটি ডগা গজিয়েছে, আবার কোনোটির পাতা কোঁকড়ানো। সেচ, সার দিয়েও লাভ হচ্ছে না। উপড়ে ফেলা হচ্ছে জমির বাঁধাকপির গাছ। বিঘাপ্রতি ৫৫-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে কপি চাষে। লাভ-তো দূরের কথা কোনো ফসলই তারা ঘরে তুলতে পারছেন না। অসাধু বীজ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়সহ ক্ষতিপূরণ দাবিতে সদর উপজেলার বন্দর গ্রামের শতাধিক চাষি গতকাল সকালে মানববন্ধন করেছেন। এ সময় কৃষক নাজের আলি কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, কপি চাষে সার-কীটনাশকের দোকানে তার ৭০ হাজার টাকার বেশি ঋণ হয়েছে। একটি টাকাও ফিরে পাবেন না। কী খাবেন। অনুরোধ করছি আমাদের একটা ব্যবস্থা করার জন্য। আরেক চাষি রমিজ উদ্দিন বলেন, ভেজাল বীজের কারণে কপিতে পাতা বাঁধেনি। এলাকার হাজার হাজার বিঘা কপি খেতের একই অবস্থা। মেহেরপুর জেলা বীজ প্রত্যন অফিসার রঞ্জন কুমার প্রামাণিক বলেন, বাঁধা কপির আগাম জাত রাজাসানের ফলন ভালো না। গত বছর তদন্ত করে আমরা এ জাতের বিজ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে লাইসেন্স বাতিল করেছি। কৃষকরা জেবিটি সিডসের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কৃষি বিভাগের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে। জেবিটি সিডস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে কাউকে পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ খবর