প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জ শহরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে গতকাল পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এবং মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফয়সাল বিপ্লবের অনুরাগী কর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষে গুরুতর আহত মনির হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। মনিরের ভাই মকবুল কমিশনার মৃণালপন্থি হিসেবে পরিচিত। কয়েকজন আওয়ামী কর্মী গুরুতর আহত হয়ে জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- মেয়র বিপ্লব আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে গজারিয়া থেকে আগত কর্মীদের সঙ্গে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেনের কথা কাটাকাটি হয় বাসস্ট্যান্ডে। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে পিটিআই মোড়ে মেয়র ফয়সল বিপ্লব আয়োজিত অনুষ্ঠানের মঞ্চে খবর আসে গজারিয়া থেকে আসা নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের ওপর হামলা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ মেয়র মাইক হাতে নিয়ে এমপি মৃণাল কান্তি দাসকে সরাসরি দোষারোপ করে বলেন, দল তাঁকে প্রার্থী করলে নৌকার জয় হবে। মৃণালকে মনোনীত করলে এখানে নৌকার ভরাডুবি হতে পারে। এ অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন প্রধান অতিথির বক্তৃতা করার সময় ‘হামলা’র নিন্দা জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেয়র ফয়সাল বিপ্লব। সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান মারামারির খবর পেয়ে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মারামারির ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তাই কোনো মামলা হয়নি।