মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিক্ষাবঞ্চিত চরাঞ্চলের শিশুরা

জুন্নু রায়হান, ভোলা

শিক্ষাবঞ্চিত চরাঞ্চলের শিশুরা

দুই চরের একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘স্বচ্ছ শিক্ষালয়’

ভোলায় মেঘনা নদীর মাঝখানে জেগে ওঠা চর মুন্সি ও চর বৈরাগিয়ায় শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শত শত শিশু। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এই দুই চরের শিশুদের জন্য স্কুল চালুর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সম্প্রতি বৈরাগিয়ার চরে ‘বাঁধন’ নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শিশুদের জন্য ‘স্বচ্ছ শিক্ষালয়’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করে। এর পরই ওই দুই চরে স্কুল প্রতিষ্ঠার দাবি উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, দৌলতখান উপজেলার মেঘনা নদীর মধ্যবর্তী মদনপুর ইউনিয়নের মুন্সির চর এবং চর বৈরাগিয়া। মুন্সির চরে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৫ শতাধিক পরিবার এবং চর বৈরাগিয়ায় ২ শতাধিক পরিবার বসবাস করছে। এর বাইরেও শুষ্ক মৌসুমে অনেক কৃষক পরিবার গিয়ে সেখানে বসবাস করে। এখানে কোনো স্কুল-মাদরাসা না থাকায় এসব পরিবারের সহস্রাধিক শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্বচ্ছ শিক্ষালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নওশাদ হোসেন মুন জানান, মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চর বৈরাগিয়ায় ২ শতাধিক পরিবার বসবাস করছে। স্কুলে যাওয়ার উপযোগী শত শত শিশুর শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। এসব শিশুর মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তারা উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি আরও জানান, আপাতত এনজিও বাঁধন’র অর্থায়নে ৭০ জন শিশু নিয়ে তাদের যাত্রা। পরবর্তীতে সরকারি বা বেসরকারি সহায়তা পেলে এর পরিসর বাড়ানো হবে। স্থানীয় মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন নান্নু ডাক্তার জানান, মেঘনা নদীর মধ্যবর্তী কয়েকটি চর নিয়ে মদনপুর ইউনিয়ন। পুরো ইউনিয়নে মাত্র তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। মুন্সির চর এবং বৈরাগিয়ার চরে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় শিশুরা শিক্ষাবঞ্চিত রয়ে যাচ্ছে। এখানে বিদ্যালয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়েছে বলেও জানান চেয়ারম্যান। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে ৪৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সারা দেশে সরকারের আরও ১ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের প্রকল্প রয়েছে। বৈরাগিয়াসহ যেসব চরে জনবসতি গড়ে উঠেছে কিন্তু স্কুল প্রতিষ্ঠা হয়নি সেসব চরে স্কুল স্থাপনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে।

সর্বশেষ খবর