বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

যত দুর্ভোগ ১১ কিলোমিটারে

পটুয়াখালী ও কলাপাড়া প্রতিনিধি

যত দুর্ভোগ ১১ কিলোমিটারে

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের আলীপুর এলাকা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পাখিমারা বাজার থেকে আলীপুর টোলপ্লাজা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার ভাঙাচোরা সড়ক কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে সড়কজুড়ে রয়েছে ছোট বড় গর্ত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপরূপ লীলাভূমি সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। সেখানে একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত দেখা যায়। প্রতিদিন হাজারো ভ্রমণ পিপাসু আসে কুয়াকাটায়। পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ৭২ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাখিমারা বাজার থেকে আলীপুর টোলপ্লাজা পর্যন্ত মাত্র ১১ কিলোমিটার সড়ক ভাঙাচোরা।

ফরিদপুর থেকে কুয়াকাটায় আসা পর্যটক ফারিয়া-রুবায়েত দম্পতি বলেন, ফরিদপুর থেকে এ পর্যন্ত বেশ ভালোই এসেছিলাম কিন্তু এ রাস্তাটুকু ভ্রমণের পুরো আনন্দই মাটি করে দিয়েছে। কুড়িগ্রাম থেকে আসা পর্যটক সুস্মিতা রানি দত্ত ও সুভাষ দাস বললেন, প্রকৃতির খেয়ালিপনা দেখে মন জুড়িয়ে গেল। কয়েকটা দিন থাকতে চাই। কিন্তু আসার পথে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার সড়ক যেন মরণফাঁদ। এতটুকু রাস্তার জন্য মন খারাপ হয়।

কুয়াকাটা-বরিশাল রুটের যাত্রীবাহী বাস আলী ক্লাসিকের চালক মো. দুলাল জানান, সড়ক তো নয়, ছোট্ট ছোট্ট পুকুর হয়ে আছে। যা মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ রাস্তায় চলাচল করায় গাড়ির আয়ু অনেক কমে গেছে। যন্ত্রপাতি নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে অল্পতেই ইঞ্জিন বসে যাবে। প্রায়ই পাতিসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করতে হয়। এতে মালিকরা ভালো ক্যাশ পায় না। কুয়াকাটা-ঢাকা রুটের বিলাসবহুল গ্রিন লাইন পরিবহনের চালক মো. আল-মামুন বলেন, সড়কে বড় বড় গর্ত হওয়ায় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টসাধ্য। এতে একদিকে গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে, যাত্রীদের মধ্যেও ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, এ সড়কে পর্যটক এভাবে ভোগান্তির শিকার হলে আর দ্বিতীয়বার আসতে চাইবে না। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিকুল্লাহ বলেন, খুলনার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দি রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স ২০১৪ সালে উচ্চ আদালতে রিট করে। এ কারণে এই সড়ক সংস্কার কাজে আইনি নিষেধাজ্ঞা ছিল। চলতি বছরের ২৭ মার্চ উচ্চ আদালত রিট খারিজ করে নেওয়ায় আর আইনি কোনো বাধা নেই। ইতোমধ্যে এ জন্য ১৭ কোটি টাকার একটি প্রাক্কলন অনুমোদন হয়েছে।

সওজের পটুয়াখালী-বরগুনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান জানান, দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী মাসে টেন্ডার ওপেন হবে। যত দ্রুত সম্ভব সিএস করে ঠিকাদার নির্বাচন করা হবে।

সর্বশেষ খবর