শিরোনাম
বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভাঙন আতঙ্ক পদ্মা-বাঙালি নদী তীরে

প্রতিদিন ডেস্ক

ভাঙন আতঙ্ক পদ্মা-বাঙালি নদী তীরে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারায়ণপুরে পদ্মা নদীর ভাঙন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীতে আবারও ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এদিকে বগুড়ায় বাঙালি নদীর ভাঙনে ১০ বিঘা কৃষিজমি বিলীন হয়েছে। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের খবর-

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : সোমবার পদ্মা নদীর ভাঙনে সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীভাঙন চললেও প্রতিরোধে কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)। জানা গেছে, সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের ধুলাউড়ি এলাকা থেকে শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ছরশিয়া পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীভাঙন হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, নদী পাড়ের ঘাস, কাশবনসহ অন্যান্য বন উজাড় করে ফেলায় দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে পানির তোড়ে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এবার নদীভাঙন মৌসুমে নিচের দিকে মাটি দেবে গিয়ে ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। জানা যায়, নদীভাঙনের হুমকিতে সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিক, দোতলা বিশিষ্ট আশ্রয় কেন্দ্র দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারায়ণপুর এম এ উচ্চবিদ্যালয়সহ কয়েক হাজার কৃষকের আবাদি জমিসহ প্রায় ৫ হাজার ঘরবাড়ি। কিছু দিন ভাঙন স্থিতিশীল থাকলেও গত শনিবার সদর উপজেলার বান্নাপাড়া এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে ভাঙনে ১ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকাসহ আবাদিজমি ও বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আকস্মিক ভাঙনে ভিটামাটি হারানো মানুষজন অন্যের জমিতে ঠাঁই নিয়েছেন। এদিকে নদীভাঙন আতঙ্কে সদর উপজেলার নারায়ণপুর আদর্শ মহাবিদ্যালয় ও নারায়ণপুর দারুল হাদিস আলিম মাদরাসা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে নিরাপদ দূরত্বে।

পাউবোর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, পদ্মা নদীর ভাঙন ঠেকাতে আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই।

বগুড়া : বাঙালি নদীর পানিতে বৃদ্ধিতে সারিয়াকান্দি উপজেলায় ১১২ হেক্টর জমির আমন ধান, সোনাতলা উপজেলার ৯৭ ও ধুনট উপজেলার ৩ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। এদিকে পানি বৃদ্ধিতে সারিয়াকান্দির নারচী ইউনিয়নের চরগোদাগাড়ী গ্রামে বাঙালি নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। সেখানে গত তিন দিনে ১০ বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সোমবার সকালে চরগোদাগাড়ী গ্রামের কৃষক সায়েদ জামান প্রামাণিকের ১৪ শতাংশ, শাহ আলমের ১ বিঘা, সাইফুল ইসলামের ১ বিঘা, আনোয়ার হোসেনের ১ বিঘা, সুরমা বেগমের ৫০ শতাংশ ফসলি জমিসহ প্রায় ১০ বিঘা জমি বাঙালি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বগুড়া জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক জানান, ভাঙন মোকাবিলায় অতি দ্রুত কাজ শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর