কুমিল্লার লাকসামে বাখরাবাদ গ্যাসে জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন গ্রাহকদের সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাখরাবাদ গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মো. সোলায়মান জানান, লাকসাম এলাকায় নতুন গ্রাহক সংযোগের অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর এক আদেশে ব্যবস্থাপক মো. ওয়ালিউল ইসলামকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, উপব্যবস্থাপক অতুল কুমার নাগকে আশুগঞ্জে ও সহকারী ব্যবস্থাপক কাজী মো. আনোয়ার হোসেনকে চাঁদপুরে বদলি করা হয়। বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম-এর একাধিক সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের পর থেকে সরকার নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ রেখেছে। সম্প্রতি বাখরাবাদ গ্যাস তাদের গ্রাহক সংখ্যা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখে, লাকসাম উপ-আঞ্চলিক বিক্রয় কেন্দ্রে ১৮০ গ্রাহক অস্বাভাবিকভাবে সফটওয়্যারে এন্ট্রি হয়েছে। এ নিয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারির পর ১৮০ জন গ্রাহকের নাম সফটওয়্যারে এন্ট্রি করা হয়। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে কমিটির প্রধান করা হয়েছে উপ-মহাব্যবস্থাপক (মেইনটেন্যান্স) মো. মাহমুদুজ্জামানকে। চিঠিতে আরও বলা হয়, গ্যাস সংযোগ বন্ধ অবস্থায় কীভাবে নতুন গ্রাহক এন্ট্রি হলো তা কমিটি খতিয়ে দেখবে। উপব্যবস্থাপক অতুল কুমার নাগ ও সহকারী ব্যবস্থাপক কাজী মো. আনোয়ার হোসেনের ইউজার আইডি দিয়ে গ্রাহকগুলো এন্ট্রি করা হয়েছে। ব্যবস্থাপক মো. ওয়ালিউল ইসলামের ইউজার আইডি দিয়ে সেগুলো অনুমোদন করা হয়। উপব্যবস্থাপক অতুল কুমার নাগ ও ব্যবস্থাপক মো. ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে তারা কিছু জানেন না।