বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শব্দদূষণে অতিষ্ঠ শহরবাসী

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

শব্দদূষণে অতিষ্ঠ শহরবাসী

শব্দদূষণ বেড়েছে নওগাঁয়। যানবাহনের হর্ন ও বিকট শব্দে মাইক বাজানোয় এ সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের বেশি সমস্যা হচ্ছে। তাদের নিয়ে শঙ্কায় আছেন অভিভাবকরা। স্থানীয়রা জানায়, শহরে ও পাড়া মহল্লায় প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয় যানবাহন চলাচল। চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। প্রতিদিন হাজার হাজার অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, বাস, মাইক্রোবাস চলাচল করে। এসব যানবাহন অকারণেই বিকট শব্দে হর্ন বাজায়। তার সঙ্গে যোগ হয় মাইকের শব্দ। এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই মাইকিং করা হয়। সুখবর, হারানো, রাজনৈতিক সমাবেশ, পুরনো পত্রিকা বিক্রি, ভাঙারি বিক্রি, বিভিন্ন ক্লিনিকের পরিচিতি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও প্রচারে এটা করা হয়। কিছু  মোটরসাইকেলে হাইড্রোলিক হর্ন ও আলাদা সাইলেন্সার ব্যবহার করে। নির্মাণকাজে ব্যবহৃত মেশিন, ইটভাঙা মেশিন, টাইলস কাটা, গ্রিল ও জেনারেটরের শব্দেও কান ঝালাপালা অবস্থা। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষ সাধারণত ৪০ ডেসিবল শব্দে কথা বলে। এর বেশি হলেই ক্ষতিকর। যদি লম্বা সময় ধরে কেউ ৭০ ডেসিবলের ওপরে শব্দের মধ্যে থাকে তাহলে শ্রবণশক্তি ক্রমশ কমে যেতে থাকে। অতিরিক্ত শব্দ মস্তিস্কে প্রভাব ফেলে। উচ্চ রক্তচাপ তৈরি করে। এটা পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর। এতে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। শহরের মুক্তির মোড়ের কর্মকার গোপাল চন্দ্র বলেন, অকারণে বিকট শব্দে হর্ন বাজানো হচ্ছে। যাতে কান ফেটে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। নওগাঁর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. আশিষ কুমার বলেন, অতিরিক্ত শব্দের কারণে শ্রবণক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। যা সব বয়সীর জন্যই হুমকির। অতিরিক্ত শব্দ পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর।

সর্বশেষ খবর