রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সংকট দেখিয়ে চড়া দামে বিক্রি

৮৭ টাকার স্যালাইন আড়াই শ

শামীম কাদির, জয়পুরহাট

শুধু ডেঙ্গু রোগীর ক্ষেত্রেই নয়, আইভি স্যালাইনের প্রয়োজন সব রোগীর ক্ষেত্রে। আবওহাওয়াজনিত কারণে বেশ কিছুদিন ধরে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে স্যালাইনের চাহিদাও বেড়েছে। রোগীর চাপে জয়পুরহাটে প্রাণরক্ষাকারী আইভি স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারি হাসপাতালে স্যালাইন সরবরাহ নেই, ফার্মেসিগুলোতেও পাওয়া যাচ্ছে না স্যালাইন। গোটা জেলা শহরের ফার্মেসিগুলো চষে বেড়ালেও কাক্সিক্ষত স্যালাইন মিলছে না। এতে করে বেকায়দায় পড়েছে রোগীর স্বজনরা। তবে হাসপাতালের সামনে দু-একটি ফার্মেসিতে আইভি স্যালাইন পাওয়া গেলেও দাম নিচ্ছে তিনগুণেরও বেশি। এ অবস্থায় নামিদামি স্যালাইন কোম্পনিগুলো এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ ফার্মেসি মালিকদের। তাদের দাবি, কোম্পানি থেকে ৫ হাজার টাকার স্যালাইন নিতে হলে আরও ১০ হাজার টাকার ওষুধ অর্ডার করতে হয়। তারা কোম্পানিগুলোতে সরকারের নজরদারি জোরদার করার দাবি জানান। সরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চাহিদামতো স্যালাইন সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে স্যালাইনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এ জেলায় ডেঙ্গু রোগী নেই বললেই চলে। কিন্তু অন্যান্য রোগীর সংখ্যা কম নয়। আবওহাওয়াজনিত কারণে বেশ কিছুদিন ধরে ডায়রিয়া রোগীর প্রকোপও বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেই চিকিৎসাসেবার শুরুতেই ধরন অনুযায়ী স্যালাইনগুলো পুশ করা হয়। এ কারণে রোগীদের বাইরে থেকে স্যালাইন আনতে বলা হচ্ছে। কিন্তু ফার্মেসি থেকেও খালি হাতে ফেরত আসছেন রোগীর স্বজনরা। অপসো স্যালাইন কোম্পানির জয়পুরহাট জেলা ব্যবস্থাপক ফিরোজ হোসাইন বলেন, চাহিদামতো স্যালাইন সরবরাহ করছে না কোম্পানি। অর্ডার যদি ৫০০ ব্যাগের হয়, সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ৫০ ব্যাগ স্যালাইন। তা নিয়ে ফার্মেসিগুলোতে ভাগাভাগি করে দেওয়া হচ্ছে। জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সরদার রাশেদ মোবারক জুয়েল বলেন, রোগীর চাহিদামতো দেওয়া যাচ্ছে না। জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী বলেন, স্যালাইন মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরির সুযোগ নেই। কেউ যদি করে থাকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর