সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফুলজোর তিস্তায় তীব্র ভাঙন

প্রতিদিন ডেস্ক

ফুলজোর তিস্তায় তীব্র ভাঙন

লালমনিরহাটে তিস্তা নদীতে বিলীন হচ্ছে লোকালয় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জে ফুলজোর ও লালমনিরহাটের তিস্তা নদীতে আবারও ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া মানুষের দিন কাটছে হতাশায়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- লালমনিরহাট : জেলার বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তার বিভিন্ন পয়েন্ট শুরু হয়েছে ভাঙন। চলতি বছর কয়েক দফা ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়েছে ফসলি জমিসহ কমপক্ষে ৭০টি বসতভিটা। বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব মানুষের ঠাঁই হয়েছে উঁচু রাস্তা বা অন্যের জমিতে। সদর উপজেলার রাজপুরের বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, আমার বাড়ি গত শনিবার রাতে নদীতে ভেঙে গেছে। নিজস্ব সম্পদ বলতে ভিটা ছাড়া কিছু নেই। সেটুকু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেলাম। পরিবার নিয়ে কোথায় যাব কুল-কিনারা পাচ্ছি না। একই এলাকার লঙ্কেস্বর রায় বলেন, এবার হঠাৎ বন্যার পানি নেমে গেছে। পানি নেমে যাওয়ার পরই শুরু হয়েছে ভাঙন। এ ছাড়া বন্যায় আসা পলিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নদী পাড়ের কৃষকরা হতাশায় ভুগছেন। রাজপুরের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নুরুল আমিন বলেন, এবার কয়েক দফা ভাঙনে শুধু রাজপুরের ৬৫-৭০টি বাড়ি বিলীন হয়েছে। আবার শুরু হয়েছে ভাঙন। ‘তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও’ সংগ্রাম পরিষদের লালমনিরহাট জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম কানু বলেন, নদীর তলদেশে পলি পড়ায় পানি ধারণ ক্ষমতা কমেছে। অল্প পানিতে বন্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর আবার শুরু হয় ভাঙন। এতে প্রতি বছর ভূমিহীন ও গৃহহীনের সংখ্যা বাড়ছে। লালমনিরহাট পাউবোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, তিস্তা তীরবর্তী রাজপুর, বাগডোরা, চন্ডিমারী, মহিষখোচাসহ বেশকিছু পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা পয়েন্টে জিও ব্যাগ ফেলে প্রতিরোধের চেষ্টা করছি। সিরাজগঞ্জ : জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ফুলজোর নদীর পঞ্চক্রোশী ইউপির বন্যাকান্দি পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। তিন দিনে বন্যাকান্দি খেয়াঘাট এলাকায় ভাঙনে ছয়টি বসতবাড়ি ও ১২ বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে ১০-১৫টি ঘরবাড়ি। বসতভিটা হারিয়ে পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে। স্থানীয় আবদুল মজিদ, সালাম ও লিলি বেগম জানান, আমরা বসতভিটা নিয়ে আতঙ্কে আছি। দ্রুত ভাঙনরোধে ব্যবস্থা না নিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাব। পঞ্চক্রোশী ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজ জানান, ভাঙনে ৮-১০টি বাড়ি বিলীন হয়েছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম জানান, ভাঙনের বিষয়টি জেনেছি। সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর