বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাতাবি লেবুর সবচেয়ে বড় হাটেও চাষিদের লোকসান

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

বাতাবি লেবুর সবচেয়ে বড় হাটেও চাষিদের লোকসান

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌর বাজারের ঐতিহ্যবাহী দেবদারুতলা বাতাবি লেবুর হাট। সারা দেশে এ হাট থেকে সরবরাহ হয় বাতাবি লেবু। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের অন্তত তিন মাস সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেচাকেনা চলে এই হাটে। আশপাশের জেলা থেকে ফলও বিক্রি হয় এখানে। স্থানীয় চাষিদের উৎপাদন করা জলপাই, মাল্টা, কাঁঠাল বিক্রি হয় এই মৌসুমি হাটে। ঠিক কবে থেকে এই হাট শুরু স্থানীয়রা কেউ বলতে পারেন না। বয়স্করা বলছেন, অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এ হাটের কার্যক্রম চলছে। পঞ্চগড়ের চাষিরা বাড়ির আনাচেকানাচে বাতাবি লেবুর গাছ লাগিয়েছেন। প্রতিটি গাছে ৪০০ থেকে ৫০০ ফল ধরে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অনেক ফল ধরেছে। বোদা উপজেলার পাঁচপীর এলাকার চাষি গৌতম কুমার জানান, তার তিনটি গাছ রয়েছে। ১ হাজার ২০০টি বাতাবি লেবু বিক্রি করেছেন। আরও কয়েক শ গাছে আছে। কোনো দিন ৭ টাকা কোনো দিন ১২ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। বাড়ির পতিত জায়গায় বীজ থেকেই গাছ হয়েছে। চাষের খরচ নেই। তাই যা দাম পেয়েছি তাই লাভ। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, গ্রাম থেকে ১০ টাকা দরে কিনে এনে এ হাটে বিক্রি করে কোনো দিন লাভ হয় কোনো দিন লোকসান গুনতে হয়। আড়তদার আবদুল জব্বার শেখ জানান, এ হাটে দাম খুব কম। কিন্তু ঢাকা বা জেলা শহরগুলোতে প্রতিটি বাতাবি লেবু ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়। ঢাকা থেকে বাতাবি লেবু কিনতে আসা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, পঞ্চগড়ের বাতাবি লেবুর স্বাদ খুব ভালো। লাল রঙের হয়। তাই এর চাহিদাও বেশি। এক ট্রাক কিনে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন, জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ২৫ হেক্টর জমিতে বাতাবি লেবু চাষ হয়েছে। দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নাঈম মোর্শেদ জানান, দেবদারুতলায় নানা ফলের বাজার বসে। এ অঞ্চলের বাতাবি লেবু অত্যন্ত সুস্বাদু। আচার বা জুস করে খেলে খুবই ভালো লাগে। এই ফলের আবাদ বৃদ্ধির জন্য আমরা চাষিদের উৎসাহিত করছি।

সর্বশেষ খবর