শিরোনাম
শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

অধিকাংশ সড়কেই খানাখন্দ

অর্থ খরচেও কমছে না ভোগান্তি

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর

অধিকাংশ সড়কেই খানাখন্দ

মাদারীপুর শহরে সড়ক খানাখন্দে ভরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদারীপুর পৌরসভা; যা দেশের অন্যতম প্রাচীন পৌরসভা। তবে এতে উন্নয়নের ছোঁয়া তেমন লাগেনি। অধিকাংশ সড়কই খানাখন্দে ভরা। অথচ প্রতি বছর এ পৌরশহরের সংস্কারে ব্যয় হয় কোটি কোটি টাকা। তার পরও নাগরিক দুর্ভোগ না কমায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। পৌরসভাসূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে গুরুত্ব্পূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পসহ পৌরসভার রাজস্ব খাত থেকে সড়ক ও নালা নির্মাণে বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি ২৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে একই খাতে বরাদ্দ ছিল ৪ কোটি ৭৮ লাখ ৭ হাজার টাকা। সংশ্লিষ্টসূত্রে আরও জানা গেছে, মাদারীপুর পৌরসভায় ৭০ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ২০ কিলোমিটার ইট বিছানো। কাঁচা সড়ক ১৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৫ কিলোমিটার। এখানে ২৮ কিলোমিটার পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজব্যবস্থা রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র পুরানবাজার। শুধু শহরবাসী নয়, এ বাজারে আসে সারা জেলার মানুষ। পৌরশহরের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির বেহাল অবস্থা। এর বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হওয়ায় সাধারণ মানুষকে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সব সড়কেরই একই হাল। শহীদ বাচ্চু সড়ক, রেন্ট্রিতলা সড়ক, ইউআই সরকারি উচ্চবিদ্যালয় সড়ক, বাদামতলা সড়ক, ডা. সিরাজুল ইসলাম তোতা, হামিদ আকন্দ সড়কে পিচ উঠে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের গর্তগুলো ভরে থাকে। এতে সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তরমুগরিয়া থেকে কাজীর মোড় পর্যন্ত সড়কে বেশ কয়েক জায়গায় বড় বড় গর্ত হয়েছে। এমন চিত্র প্রায় প্রতিটি সড়কের।

শহরের বাসিন্দা রিপন মল্লিক জানান, তার বাসার সামনের সড়ক দিয়ে ইউআই স্কুলের শিক্ষার্থীরা আসা-যাওয়া করে। অথচ সড়কটি একেবারেই ভাঙাচোরা।

পুরানবাজারের ব্যবসায়ী ইকবাল বেপারী জানান, শহরের অধিকাংশ সড়কের বেহালদশা। অথচ কয়েক মাস আগে সড়ক সংস্কার করা হয়েছে।

মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘প্রতি বছর সড়ক সংস্কার হয়, দ্রুত নষ্টও হয়ে যায়। শহরের সড়কগুলোর যে অবস্থা তাতে চলাচল করাই কষ্টকর। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।’ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজীব মাহমুদ কাওসার বলেন, ‘মূলত বৃষ্টির পানি জমে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সংস্কারকাজের জন্য মালপত্র আনা হয়েছে। বৃষ্টি একটু কমলেই সংস্কারকাজ শুরু হবে।’ এ ব্যাপারে মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ বলেন, ‘শহরের রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজব্যবস্থার উন্নয়নে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর