রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সেতুর অভাবে দুর্ভোগ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

সেতুর অভাবে দুর্ভোগ

ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় মালদা নদী পার হন তিন ইউনিয়নের মানুষ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষতুলি এলাকায় মালদা নদীতে একটি ব্রিজ না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তিন ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষকে। এখানে ছোট ছোট শিক্ষার্থীসহ সবাইকে ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হতে হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রিজ নির্মাণ এখনো প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। গত কয়েক বছরে একাধিকবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থলে এসে মাপজোখ-মাটি পরীক্ষা করলেও বাস্তবে কোনো ফল নেই। এলাকাবাসীর দাবি, মহিষতুলিতে মালদা নদীর ওপর ব্রিজটি নির্মাণ হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি ওই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।

সরেজমিন দেখা গেছে, জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের মহিষতুলি, ফলিমারী, দুলালী ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর, উত্তর গোবধা, শঠিবাড়ী এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের লোহাকুচী এলাকার মানুষ নিয়মিত মহিষতুলিতে মালদা নদী পারাপার হন। মহিষতুলির বাসিন্দা রমনি কান্ত (৫৫) বলেন, অনেক কষ্টে চলাচল করতে হয়। বুড়ো হয়ে গেলাম ব্রিজটি আর হলো না। লোহাকুচী থেকে শঠিবাড়ী যাতায়াতকারী রহমত বলেন, ছোটবেলা থেকে প্রয়োজনীয় কাজে যাতায়াত করতে হয় এই পথ দিয়ে। বর্ষাকালে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। নদী পার হতে না চাইলে ২৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা জমসের আলী বলেন, ব্রিজ না থাকায় কৃষকদের ফসল পারাপারেও ভোগান্তি হয়। দুলালীর বাসিন্দা জেলে খোরশেদ আলম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এলজিইডির লোকজন এসে মাটি পরীক্ষা ও মাপামাপি করে গেছেন। কিন্তু ফলাফল শূন্য। শঠিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা আবদুল খালেক বলেন, নদীর একপাশে দুটি বিদ্যালয় ও অপর পাশে মাদরাসা রয়েছে। শিক্ষার্থীসহ এই পথে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। ব্রিজটি নির্মাণ হলে চলাচলে দুর্ভোগ কমার পাশাপাশি এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। জনগণের ভোগান্তি নিরসনে স্থানীয় সংসদ সদস্য সম্প্রতি মহিষতুলিতে ব্রিজ নির্মাণের জন্য সুপারিশপত্র দিয়েছেন জানিয়ে এলজিইডির আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাইদুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর