মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ

মনিরুল ইসলাম মনি, সাতক্ষীরা

জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ

ভারী বর্ষণ হলেই সাতক্ষীরার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সাতক্ষীরার তিনটি উপজেলার অন্তত ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়। সেখান থেকে পানি নিষ্কাশন হয়নি। এতে ওই এলাকার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। তারা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন বলছে, শুষ্ক মৌসুমে নদী ও খাল খননকাজ সম্পন্ন হলে জলাবদ্ধতার হাত থেকে সাতক্ষীরার মানুষ রক্ষা পাবে।

এলাকাবাসী জানান, সাতক্ষীরা পৌরসভার পারকুকরালি, মাছখোলা, কামাননগর, মধুমল্লারডাঙ্গী, রসুলপুর, পুরাতন সাতক্ষীরা, তালা সদর ইউনিয়নের খড়েরডাঙ্গা, মাঝিয়াড়া, মুড়াকুলিয়া উত্তরপাড়া ও জেয়ালা নলতার নিকারিপাড়া, খলিষখালীর নিম্নাঞ্চল, আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের গোজুয়াকাটি, ফটিকখালী, রাউতাড়া, গোয়ালডাঙ্গা, দক্ষিণ বড়দল ও বুধহাটা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব ও পশ্চিম এবং দক্ষিণ বুধহাটা ও তার আশপাশ এলাকার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। বেতনা ও কপোতাক্ষ নদে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় এসব এলাকায় মানুষের বাড়ির আঙিনায় পানি থই থই করছে। পানিতে তলিয়ে আছে ফসলি জমি। চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে এখানকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ। বসত ও রান্নাঘরে পানি উঠে যাওয়ায় রান্নাও করতে পারছে না অনেকে। বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান আশাশুনি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড পরিকল্পনাহীনভাবে বেতনা নদী খনন করে দুই পাশে স্তূপাকারে মাটি রেখে দেওয়ায় এলাকার পানি নদীতে নিষ্কাশন হতে পারছে না। এমনকি বুধহাটা মহেষরকাটি স্লুুইসগেটটি মাটি ফেলে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে হিমখালী খালে নেট পাটা দিয়ে অবৈধভাবে মাছ চাষ করছে একটি প্রভাবশালী মহল। এসব কারণে পানি সরতে পারছে না। বিষয়টি প্রশাসনকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। 

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুর রহমান জানান, জেলায় বিভিন্ন খাল খনন হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে সাময়িক খাল খনন বন্ধ রয়েছে। আগামী গ্রীষ্ম মৌসুমে খাল খনন সম্পন্ন হলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবির জানান, সরকারি খালে কেউ অবৈধভাবে নেট পাটা দিয়ে মাছ চাষ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলার নিম্নাঞ্চলে অতি বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা হয়েছে। নদী ও খাল খনন শেষ হলে জলাবদ্ধতা থাকবে না। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হবে।

সর্বশেষ খবর