বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আমন খেতে মাজরা পোকা

মরে যাচ্ছে ধানগাছ য় দিশাহারা কৃষক

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

আমন খেতে মাজরা পোকা

লালমনিরহাটে আমন ধান খেতে মাজরা পোকার আক্রমণে কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। কীটনাশক প্রয়োগ করেও পোকা দমন করা যাচ্ছে না। কৃষকদের অভিযোগ, এ বিষয়ে কৃষি বিভাগ থেকে কোনো ধরনের সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া চলতি আমন মৌসুমের শুরুর দিকে বৃষ্টি না হওয়ায় চাষিদের ধান চাষে বেশি খরচ পড়েছে। পরে প্রতিকূল অবস্থা কাটিয়ে উঠলেও এখন মাজরা পোকা ও খোল পচা রোগে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধান গাছ। নানা রকম ওষুধ প্রয়োগ করেও সুফল মিলছে না। একদিকে মজুরি খরচসহ তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধি অন্যদিকে ধানগাছে পোকা ও পচন ধরায় ক্ষতির আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন কৃষকরা। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে লালমনিরহাট জেলায় ৮৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, জেলার আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ী, সারপুকুর, ভেলাবাড়ী, দুর্গাপুর, সদর উপজেলার বড়বাড়ী, গোকুন্ডা, মোগলহাট, মহেন্দ্রনগর, কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা, মদাতি, চন্দ্রপুর, হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না, ভেলাগুঁড়ি, সিংগিমারী, টংভাঙ্গা এবং পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ও কুচলিবাড়ী ইউনিয়নসহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে আমন ধানের গোড়া পচা ও পাতা মরা রোগ দেখা দিয়েছে। ফলন আসার আগেই গোড়া পচে ধানগাছ খড়ে পরিণত হচ্ছে। পাতা হলুদ বর্ণ ধারণ করে ধীরে ধীরে ধানগাছ জমিতেই মারা যাচ্ছে। তাছাড়া নানা জাতের কীটপতঙ্গের আক্রমণ বেড়েছে আশঙ্কাজনকহারে। বিশেষ করে মাজরা পোকার উৎপাত বেড়েছে বেশি। ক্ষতি কমিয়ে নিতে কৃষকরা ছিটাচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক। কৃষকেরা বলছেন, কীটনাশক দেওয়ার পরও যদি আমনের মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ দমন না হয়, তাহলে ফলনের ক্ষেত্রে তা বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক মহিবুল ইসলাম বলেন, ‘৩ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছি। খেতে মাজরা পোকার আক্রমণ এবং গোড়া পচা রোগ অন্য বছরের চেয়ে বেশি। ধানের শিষ না আসতেই এমন রোগ দেখা দেওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। কীটনাশক, ওষুধ স্প্রে করেছি গোড়া পচা ও পোকার আক্রমণ কিছুটা কমেছে। তবে খেত পুরোপুরি মাজরা পোকামুক্ত হয়নি।’ লালমনিরহাট জেলা কৃষি কর্মকর্তা হামিদুর রহমান বলেন, কিছু এলাকায় গোড়া পচা রোগ দেখা দিয়েছে। বেশি জমি আক্রান্ত হয়নি। ব্যাপকভাবে যেন পোকার আক্রমণ না ছড়ায়, সেজন্য মাঠপর্যায়ে কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর