শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

হেমন্তে শীতের আমেজ

দিনাজপুর প্রতিনিধি

হেমন্তে শীতের আমেজ

শীতের আগমনি বার্তার সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়েছে ধুনকরদের -বাংলাদেশ প্রতিদিন

উত্তরের জেলা দিনাজপুরে হেমন্তের শুরুতেই দেখা দিয়েছে শীতের আমেজ। দিনে হালকা গরম থাকলেও সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে প্রকৃতি। রাতে মৃদু ঠান্ডা দিচ্ছে শীতের আগমনি বার্তা। সব বয়সী মানুষ রাতে শরীরে কাঁথা ও হালকা কম্বল জড়াচ্ছেন। ফসলের খেতসহ ঘাসে শিশির বিন্দু এঁকে দিচ্ছে শীতের চিহ্ন। আগাম সবজি চাষ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা। আগাম চাষের সবজি বাজারেও আসছে।

শীত অনুভূত হতেই বিভিন্ন গ্রামে গৃহবধূরা শুরু করেছেন কাঁথা সেলাই। অনেক পরিবার কাঁথা সেলাইয়ের মাধ্যমে জীবিকানির্বাহ করেন। কাটাবাড়ি গ্রামের মরিয়ম জানান, শহরের অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার শীত মৌসুম আসার আগে তাদের কাছে কাঁথা সেলাই করে দেওয়ার জন্য কাপড় সরবরাহ করেন। নকশাভেদে একটি কাঁথা সেলাইয়ে মজুরি বাবদ নেওয়া হয় ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা। অনেক গৃহবধূ কাজের ফাঁকে প্রতি শীত মৌসুমে ১০-১৫টি কাঁথা সেলাই করে বাড়তি আয় করছেন। শীতের আগমনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যস্ততা বেড়েছে শীত নিবারণের অন্যতম অনুসঙ্গ লেপ-তোশক তৈরির কারিগরদের। লেপ-তোশকের দোকানে ভিড় করছেন মানুষ। দোকানিরা জানান, শীত মৌসুমে প্রতি দোকানে প্রায় ১০০-২৫০টি লেপ-তোষক ও জাজিম কেনাবেচা হয়। ব্যবসায়ীরা জানান, দিনাজপুরের বিভিন্ন স্থানে লেপ-তোশক কারিগর ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে। জেলা শহরসহ উপজেলার ছোট-বড় হাটবাজারগুলোয় জাজিম, বালিশ, লেপ, তোশক তৈরি এবং বিক্রির কাজে শতাধিক কারিগর ও ব্যবসায়ী নিয়োজিত। এবার ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা একটি লেপ-তৈরিতে খরচ হয়। গত বছরের তুলনায় দাম একটু বেশি। কাপড় ও তুলা বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে তাদের।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর