বাগেরহাটের শরণখোলায় বলেশ্বর নদে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০০ ফুট রিং বেড়িবাঁধ নদে বিলীন হয়ে গেছে। বুধবার থেকে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা আশার আলো মসজিদসংলগ্ন মূল বাঁধের পাশের রিং বেড়িবাঁধে ভাঙন শুরু হয়। ভয়াবহ ভাঙনে রিংবাঁধের বহিরাংশের কমপক্ষে ৬ বিঘা জমি গাছপালাসহ বিলীন হয়ে যায়। এতে রিংবাঁধ এবং মূল বাঁধের মাঝখানে বসবাসকারী পরিবারগুলো এখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। বাঁধের পাশের দোকানপাট সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সেখানকার লোকজন জানান, বুধবার দুপুরে গাবতলা আশার আলো মসজিদ থেকে ডিএস-৭ স্লুইস গেট পর্যন্ত রিংবাঁধের প্রায় ৪০০ ফুট এলাকা বলেশ্বরে বিলীন হয়ে গেছে। এর আগে সকাল ৬টার দিকে ওই রিংবাঁধের সামনের প্রায় ৬ বিঘা জমি নদে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, নদী শাসন না করে বাঁধ নির্মাণ করায় ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙনে বাঁধের বাইরের বিঘার পর বিঘা জমি বিলীন হয়ে গেছে। এখন মূল বাঁধ ভাঙছে। দুই বাঁধের মাঝখানের পরিবারগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইমরান হোসেন রাজিব বলেন, তার ইউনিয়নের গাবতলা, বগী, তাফালবাড়ীসহ বলেশ্বর তীরের ১০-১২টি পয়েন্ট ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব এলাকায় দ্রুত নদী শাসন করা না হলে এই বাঁধ শরণখোলাবাসীর কোনো কাজে আসবে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ভাঙনের খবর শুনেছি। সিইআইপি কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত বাঁধ হস্তান্তর করেনি। বিষয়টি তাদের অবহিত করা হয়েছে।