সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পলিথিনে পরিবেশের সর্বনাশ

সঞ্জয় দাস লিটু, পটুয়াখালী

পলিথিনে পরিবেশের সর্বনাশ

প্লাস্টিক আর পলিথিনে সয়লাব পটুয়াখালীর সর্বত্র। দেদার এর ব্যবহার হচ্ছে শহর-বন্দর, হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা, গ্রামগঞ্জে। প্লাস্টিক, পলিথিনে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকায় পরিবেশ হুমকিতে পড়ছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, যত্রতত্র ফেলে রাখা হয় প্লাস্টিকের বোতল। ফলে কোথাও কোথাও বন্ধ হয়ে যায় পানির প্রবাহ। বাধাগ্রস্ত হয় পানির স্বাভাবিক গতি। বর্ষা মৌসুমে পানি চলাচল করতে না পারায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয় বহু এলাকায়। নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয়, ড্রেন, রাস্তাঘাট, শহর-বন্দর, হাট-বাজার থেকে গ্রাম-গ্রামান্তর কোথাও এর ব্যবহারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা নেই কারও মধ্যে।

সরেজমিন শহরের নিউমার্কেট, নতুন বাজার ও পুরান বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছবাজার থেকে শুরু করে প্রতিটি দোকানেই পলিথিনের প্রকাশ্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ব্যবহার যেন ক্রেতা ও দোকানিদের কাছে অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

নিউমার্কেটের সবজি ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন,  ক্রেতাদের অনেকেই ব্যাগ নিয়ে বাজারে আসেন না। তারা পলিথিননির্ভর বাজার করে থাকে। আবার কেউ ব্যাগ নিয়ে এলেও প্রতিটি সবজিই আলাদা আলাদা পলিথিনে নিতে চায়। 

মাছ ব্যবসায়ী শহিদুল আলম বলেন, মার্কেটে বাজার করতে এলে ক্রেতাদের হাতে বাজারের ব্যাগ থাকলেও মাছ কাটার পর পলিথিন ভরে দিতে হয়। কেউ কেউ আবার ডবল পলিব্যাগ চায়। না হলে পরে আর মাছ নিতে চায় না। নিরুপায় হয়ে পলিথিন ব্যবহার করতে হয়।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাহবুব রব্বানী বলেন, পলিথিন বা প্লাস্টিক পচনশীল নয়। পলিথিন তুলে নির্দিষ্ট স্থানে ধ্বংস বা প্রক্রিয়াজাত করতে হবে। পটুয়াখালী পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক কাজী সাইফুদ্দীন বলেন, আমরা সংবাদ পেলেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি। জরিমানাও করি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর