মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সড়কে খানাখন্দে দুর্ভোগ

‘যাত্রীদের হাত-পা ভেঙে যায়, ছিলে যায়। গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে যায়। আতঙ্ক নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়’

আব্দুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ

সড়কে খানাখন্দে দুর্ভোগ

ইট-সুরকি উঠে বেহাল সড়ক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সড়কের কোথাও ইট-সুরকি উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও রাস্তা উঁচু-নিচু হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে তৈরি হওয়া খানাখন্দে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে ভরে যায়। রাস্তার দুই পাশসহ পুরো রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। এমন দৃশ্য সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের সঙ্গে রায়গঞ্জ উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা রায়গঞ্জ-সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাঙ্গাসী বাজারের এক কিলোমিটার অংশ। ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রাস্তার অনেকাংশই ক্ষতিগ্রস্ত। তবে এই ১ কিলোমিটার অংশের করুণ দশার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চালককে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৩-৪ বছর ধরে রাস্তাটির করুণ দশা। রাস্তাটি দিয়ে জেলা সদরের সব যানবাহনসহ রাতে উত্তরবঙ্গগামী শতশত বাস চলাচল করে। প্রতিদিন কয়েক হাজার সিএনজি, বাস, ট্রাক, ভ্যান চলাচল করে। রাস্তা দিয়ে গুরুতর রোগী বা গর্ভবতীকে সিএনজি ও ভ্যানে নিয়ে যাওয়া যায় না।  সিএনজিচালক আহসান ও আশরাফ আলী জানান, রাস্তা উঁচু-নিচু আর খানাখন্দ। বৃষ্টির পানিতে গর্ত ভরে গেলে বোঝা যায় না। ফলে গর্তে পড়ে গাড়ি উল্টে যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে যাচ্ছে। ভ্যানচালক মাহমুদ আলী জানান, যাত্রীদের হাত-পা ভেঙে যায়, ছিলে যায়। গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে যায়। আতঙ্ক নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়।

পথচারী ইকবাল হোসেন জানান, বৃষ্টির সময় পানি ছিটে পথচারী, স্কুল-কলেজগামী ছাত্রী-ছাত্রীদের পোশাক, বই খাতা নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তার দুই পাশে কাদাপানি জমে যাওয়ায় চলাচলে কষ্ট হয়ে পড়েছে। রাস্তার ধারে দোকানে কাদাপানি ছিটে মালামালও নষ্ট হয়ে যায়। এমন দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে। সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা। রাস্তাটির ওই অংশ রড ও সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করার জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর