বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সেতু নির্মাণ নিয়ে হাজারো প্রশ্ন

দীর্ঘদিনেও কাজে লাগেনি

কাবুল উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ

সেতু নির্মাণ নিয়ে হাজারো প্রশ্ন

ঘিওর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সামনে নির্মিত সেতুটি এলাকাবাসীর কোনো কাজে লাগছে না -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মানিকগঞ্জের ঘিওরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সামনে এক যুগ আগে নির্মিত ব্রিজ কোনো কাজে লাগছে না। চল্লিশ ফুট উচ্চতার এ সেতুটি এখন হাজারো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। লোকজনের প্রশ্ন দুই পাশে কোনো রাস্তা নেই, দীর্ঘদিনে কোনো পরিকল্পনাও করা হয়নি তাহলে কেন এ সেতু। গুরত্বপূর্ণ রাস্তার মধ্যে সেতুটি দেখে গাড়িচালকরাও বিভ্রান্ত হন।  বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা বলেন, অপরিকল্পিত সেতুর কারণে একপাশ থেকে অন্যপাশের যানবাহন দেখা যায় না। ফলে প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। যদি কোনো কাজেই না আসে তাহলে সড়ক থেকে এটি অপসারণ করা হয় না কেন।

ঘিওর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাম প্রসাদ দিপু বলেন, এক যুগ আগে ঘিওরের সেতুটি নির্মিত হলেও এটি কোনো কাজে লাগেনি। ব্রিজটির দুই পাশে মাটি ভরাট করে বিকল্প রাস্তার সংযোগ দিলেই এটি কার্যকর হবে। ওই পথে চলাচলরত গাড়ির চালক, যাত্রী ও এলাকাবাসী বলেন, সেতুটি কার স্বার্থে এবং কেন করা হয়েছে এর কোনো উত্তর মেলেনি।

মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, ঘিওর থেকে পুরান ধলেশ্বরী নদীর ওপর তৈরি করা বেইলি ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়কটি সোজা করতেই সেখানে সড়ক এবং একটি আন্ডার পাস নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। প্রকল্প অনুযায়ী সেখানে একটি আন্ডার পাস তৈরি করা হলেও জমি অধিগ্রহণের জটিলতার কারণে সেখানে সড়কটি করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে পরবর্তীতে প্রকল্পটি স্থগিত হয়। অকেজো হয়ে পড়ে থাকে ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ আন্ডার পাস।

মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গাউন-উল হাসান মারুফ বলেন, সরকার কোনো প্রকল্প হাতে নেয় অবশ্যই জনগণের কল্যাণের জন্য। কিন্তু কখনো কখনো নানা সমস্যার কারণে তার সুফল পাওয়া যায় না। নদীর ওপর স্থাপিত বেইলি ব্রিজের অ্যাপ্রোচের সঙ্গে বিদ্যমান আঁকা-বাঁকা সড়কটিকে সোজাকরণের জন্য ওই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রকল্প অনুযায়ী আন্ডার পাসটি নির্মাণ হলেও জমি অধিগ্রহণের জটিলতায় নতুন সড়কটি করা সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ খবর