পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় চার বছরেও শেষ হয়নি ছয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ। স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, ঠিকাদারদের দায়িত্বহীনতা ও লোভের কারণেই এ কাজে এত দীর্ঘসূত্রতা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, স্থানীয় প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে বানিয়ারা পাড়া, বানুর হাট, দীঘলগ্রাম, চেপটিখুড়া, বটতলি ও সোনাহার দুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২১ সালে এ কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু এখনো কোনো ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। এতে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। অন্যদিকে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে এসব ভবনের কাজ করার অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা। এ অভিযোগে সম্প্রতি সোনাহার দুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের কাজ বন্ধও করে দিয়েছে তারা। জানা গেছে, কাজ শেষ না করেই বরাদ্দের ৯০ ভাগ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন ঠিকাদাররা। স্থানীয় রেজওয়ানুল খালেদ বলেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। তাই আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। সোনাহার দুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসনাত আরা বেগম জানান, শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি জামিনুর রহমান বলেন, নির্মাণ সামগ্রী নিম্নমানের। তবে ঠিকাদাররা এসব অভিযোগ অস্বীকার করছেন। তারা নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মেসার্স সাইফুল আলম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সাইফুল আলম জানান, যারা অভিযোগ করেছে তারা আমার কাছে চাঁদা দাবি করেছে। আমি চাঁদা দেইনি বলে তারা এসব করছে। দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী শাহারিয়ার ইসলাম শাকিল বলেন, এ বছরের মধ্যে কাজ শেষ না করলে ঠিকাদারদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হবে।